অযু ভঙ্গের কারণগুলো ইসলামি শরিয়তের দৃষ্টিতে স্পষ্টভাবে নির্ধারিত। নিচে অযু ভঙ্গের প্রধান কারণসমূহ দেওয়া হলো:
প্রস্রাব, পায়খানা বা বায়ু ত্যাগ করলে অযু ভেঙে যায়।
দলিল: হাদীস — রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেন,
لَا يَقْبَلُ اللَّهُ صَلَاةَ أَحَدِكُمْ إِذَا أَحْدَثَ حَتَّى يَتَوَضَّأَ
বাংলা উচ্চারণ: লা ইয়াক্ববালুল্লাহু ছালাতা আহাদিকুম ইযা আহ্দাসা হাত্তা ইয়াতাওয়ায্যা।
বাংলা অনুবাদ: "তোমাদের কেউ যখন অযু ভঙ্গ করে, তখন সে যতক্ষণ না নতুন করে অযু করে, আল্লাহ তার নামায কবুল করেন না।" (সহীহ বুখারী, হাদীস: ১৩৫; মুসলিম: ২২৫)
যদি এমনভাবে ঘুমায় যে অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ শিথিল হয়ে যায় (যেমন শুয়ে বা হেলান দিয়ে গভীর ঘুম), তবে অযু ভেঙে যায়।
তবে যদি বসে ঘুমায় এবং পায়ুপথ বন্ধ থাকে, তাহলে অযু ভঙ্গ হয় না।
মানসিক ভারসাম্য হারানো, অজ্ঞান হওয়া, মাদকতা ইত্যাদির কারণে অযু ভেঙে যায়।
নিজের বা অন্যের লজ্জাস্থান (যোনী বা পায়ুপথ) স্পর্শ করলে অযু ভেঙে যায় — এক্ষেত্রে মতভেদ আছে, তবে অধিক সাবধানতার জন্য অযু করা উত্তম।
সালাতের মধ্যে যদি এমনভাবে হাসে যে পাশের মানুষ শুনতে পায়, তাহলে অযু ভেঙে যায় (এটি হানাফি মাযহাব অনুযায়ী)।
শরীর থেকে এতটুকু রক্ত বের হয় যা গড়াতে পারে — হানাফি মতে এতে অযু ভেঙে যায়।
হানাফি মতে, যদি মুখভর্তি বমি হয় এবং তা জোরপূর্বক বের হয়, তবে অযু ভেঙে যায়।
শুধু সন্দেহ হলে (যেমন মনে হলো অযু আছে কি না) — তখন নিশ্চিত প্রমাণ ছাড়া অযু ভেঙেছে বলা যাবে না।
অযু অবস্থায় ইবাদত ও নামাজ গ্রহণযোগ্য, তাই অযু রক্ষা করা ইমানের অংশ।