আয়াতের প্রতিটি অংশের তাফসীর
• وَ اِذۡ اَخَذۡنَا مِیۡثَاقَ بَنِیۡۤ اِسۡرَآءِیۡلَ
“আর যখন আমরা بنی ইস্রাঈল থেকে মিয়াঁজ নিয়েছিলাম” — আল্লাহ তাঁর পবিত্র নবানী সম্প্রদায়কে বিশেষ অনুশাসন ও নির্দেশনা দিয়েছেন।
• لَا تَعۡبُدُوۡنَ اِلَّا اللّٰهَ ۟
“তোমরা আল্লাহ ছাড়া কাউকে আরাধনা করবে না” — একত্ববাদ ও শুধুমাত্র আল্লাহর ইবাদতের বাধ্যবাধকতা।
• وَبِالۡوَالِدَیۡنِ اِحۡسَانًا
“পিতামাতার প্রতি ভালবেস্তা” — বাবা-মায়ের প্রতি সম্মান, শ্রদ্ধা ও দয়া প্রদর্শন।
• وَّ ذِی الۡقُرۡبٰی وَ الۡیَتٰمٰی وَ الۡمَسٰکِیۡنَ
“আত্মীয়, অনাথ এবং দরিদ্রদের প্রতি সদয় হওয়া” — সামাজিক দায়িত্ববোধ ও দয়াশীলতা।
• وَ قُوۡلُوۡا لِلنَّاسِ حُسۡنًا
“মানুষের প্রতি ভদ্রতা ও সদ্বাচারণ” — ভাষা ও ব্যবহার সম্পর্কে সতর্কতা।
• وَّ اَقِیۡمُوا الصَّلٰوۃَ وَ اٰتُوا الزَّکٰوۃَ
“নামাজ প্রতিষ্ঠা কর এবং যাকাত দাও” — ইসলামের দুটি মূল ভিত্তি, ইবাদত ও সামাজিক সেবার নির্দেশ।
• ثُمَّ تَوَلَّیۡتُمۡ اِلَّا قَلِیۡلًا مِّنۡکُمۡ وَ اَنۡتُمۡ مُّعۡرِضُوۡنَ
“অতঃপর তোমাদের মধ্যে সামান্য সংখ্যক ব্যতিক্রম ছাড়া সবাই মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে” — বেদ্বিপক্ষতা ও অসঙ্গতি।
এই আয়াতে আল্লাহ পূর্বে بنی ইস্রাঈলদের সঙ্গে মিয়াঁজ গ্রহণের কথা স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন যেখানে ঈমান ও সৎকর্মের মৌলিক নিয়মাবলী নির্দেশিত হয়েছিল। তবে তাদের অধিকাংশই এই শপথ থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছিল। এতে একত্ববাদ থেকে শুরু করে পারিবারিক ও সামাজিক দায়িত্ব পালন, সদ্ব্যবহার এবং নামাজ ও যাকাতের গুরুত্ব তুলে ধরা হয়েছে।
ঈমান শুধু বাক্য নয়, তা কাজে প্রমাণিত হতে হবে।
পরিবারের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হওয়া ও সমাজের দুর্বলদের সাহায্য করা প্রতিটি মুসলমানের কর্তব্য।
নামাজ ও যাকাত ইসলামের ভিত্তি, এগুলো ছাড়া ঈমান অসম্পূর্ণ।
শপথ ভঙ্গ ও দায়িত্ব পালনে অবহেলা পরিণতি বেদনার কারণ।
এই আয়াতটি بنی ইস্রাঈল সম্প্রদায়ের জন্য নাযিল হয়েছিল, যারা মিয়াঁজ করে আল্লাহর একত্ববাদ মেনে নিয়েছিল কিন্তু পরবর্তীতে সেই শপথ থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছিল এবং দায়িত্ব পালনে অবহেলা করেছিল।