আয়াতের প্রতিটি অংশের তাফসীর
وَ الَّذِیۡنَ اٰمَنُوۡا
আর যারা ঈমান এনেছে
এখানে বলা হয়েছে সত্যিকার ঈমানদারদের কথা—যারা অন্তর থেকে আল্লাহ, রাসূল ও আখিরাতে বিশ্বাস স্থাপন করেছে এবং এ বিশ্বাসে অটল থেকেছে।
وَ عَمِلُوا الصّٰلِحٰتِ
এবং সৎকর্ম করেছে
তারা কেবল বিশ্বাসে থেমে থাকেনি, বরং সে বিশ্বাস অনুযায়ী কাজও করেছে—নামায, রোযা, দান, সততা, ন্যায়বিচার ইত্যাদি।
اُولٰٓئِکَ اَصۡحٰبُ الۡجَنَّۃِ
তারা জান্নাতের অধিবাসী
এ ধরনের ব্যক্তিদের জান্নাতের স্থায়ী বাসিন্দা বলা হয়েছে। তাদের জন্যই জান্নাত প্রস্তুত।
هُمۡ فِیۡهَا خٰلِدُوۡنَ
তারা সেখানে চিরকাল থাকবে
জান্নাতে তাদের অবস্থান চিরস্থায়ী হবে। সেখানে কোনো মৃত্যুর ভয় থাকবে না, কোনো দুর্দশাও থাকবে না।
এই আয়াত পূর্ববর্তী আয়াতের বিপরীতে একজন মু’মিন ও নেককার বান্দার পরিণতির কথা বলছে। ঈমান ও আমলে সালেহ—এই দুই ভিত্তির উপর জান্নাত নির্ভরশীল। এখানে বুঝিয়ে দেওয়া হচ্ছে, কারও জন্মসূত্র বা জাতিগত পরিচয় নয়, বরং কারো বিশ্বাস ও কর্মই তাকে জান্নাতের উপযুক্ত করে তোলে।
জান্নাত পেতে হলে ঈমান এবং সৎকর্ম দুটোই প্রয়োজন।
চিরস্থায়ী শান্তির আবাস পেতে হলে আল্লাহর বিধান অনুসরণ করা আবশ্যক।
শুধুমাত্র বংশ বা পরিচয়ের উপর ভরসা করা যথেষ্ট নয়—কর্মও জরুরি।
জান্নাতের প্রতিশ্রুতি শুধুমাত্র মুখের দাবির জন্য নয়, বাস্তব আমলের ভিত্তিতেই তা অর্জিত হয়।
এই আয়াত পূর্ববর্তী আয়াতের সাথে যুক্ত। যেখানে আল্লাহ বললেন, যারা কুফরি ও গোনাহে লিপ্ত, তারা জাহান্নামে চিরকাল থাকবে। এবার তিনি ব্যতিক্রম রূপে বললেন—যারা ঈমান আনে ও সৎকর্ম করে, তাদের জন্য থাকবে জান্নাত। ইহুদিদের মিথ্যা দাবির বিরুদ্ধে এই আয়াত জানিয়ে দেয়—পরিণতি নির্ভর করে ব্যক্তি ও তার কাজের উপর।