 
                            আয়াতের প্রতিটি অংশের তাফসীর
اَمۡ حَسِبۡتُمۡ اَنۉ تَدۡخُلُوا الۡجَنَّۃَ
তুমি কি মনে করো, তোমরা সহজেই জান্নাতে প্রবেশ করবে — অর্থাৎ কোনো পরীক্ষা ছাড়া।
وَلَمَّا یَاۡتِکُمۡ مَّثَلُ الَّذِیۡنَ خَلَوۡ مِنۡ قَبۡلِکُمۡ
যখন তোমাদেরও আগের জাতিগুলোর মতো পরীক্ষা আসবে — যারা পূর্বে গিয়েছিল।
مَسَّتۡهُمُ الۡبَاۡسَآءُ وَ الضَّرَّآءُ
তাদের কঠিন বিপদ ও কষ্ট স্পর্শ করেছিল।
وَ زُلۡزِلُوۡا
তারা কাঁপিয়ে উঠেছিল কঠিন পরীক্ষায়।
حَتّٰی یَقُوۡلَ الرَّسُوۡلُ وَ الَّذِیۡنَ اٰمَنُوۡا مَعَهٗ مَتٰی نَصۡرُ اللّٰهِ
যতক্ষণ না নবী ও তার সঙ্গীরা প্রশ্ন করেছিল, "আল্লাহর সাহায্য কখন আসবে?"
اَلَاۤ اِنَّ نَصۡرَ اللّٰهِ قَرِیۡبٌ
তবে নিশ্চয়ই, আল্লাহর সাহায্য খুব শীঘ্রই আসবেই।
এই আয়াত মুমিনদের সাবধান করে যে জান্নাতে প্রবেশ সহজ নয়; তাদের কঠোর পরীক্ষা ও কষ্টের মধ্য দিয়ে যেতে হবে। পূর্ববর্তী উম্মতদের মতো তারা দুঃখ-কষ্ট ও কষ্টে পড়েছিল, কিন্তু আল্লাহর সাহায্য তাদের কাছে শীঘ্রই আসেছিল। এই বিষয়টি নবী ও তাঁর অনুসারীদের জন্য ধৈর্যের আহ্বান।
জান্নাতে প্রবেশ সহজ নয়, কঠোর পরীক্ষা থাকবে।
পূর্ববর্তী উম্মতদের দুর্ভোগ ও পরীক্ষা থেকে শিক্ষা নিতে হবে।
নবী ও মুমিনদের ধৈর্য ধারণ করতে হবে।
আল্লাহর সাহায্য ও সাহায্যের সময় নিশ্চিত।
ঈমানদারদের ধৈর্য ও আশা বজায় রাখা প্রয়োজন।
এই আয়াত মদিনায় নাজিল হয় যখন নবী (সা.) ও তাঁর সাহাবারা শত্রুদের চাপে কঠিন পরিস্থিতির মধ্যে পড়েছিল। তারা আল্লাহর সাহায্যের প্রত্যাশায় ছিল এবং এই আয়াত তাদেরকে ধৈর্য ধারণের তাওয়সিয়া দেয়।