 
                            আয়াতের প্রতিটি অংশের তাফসীর
زُیِّنَ لِلَّذِیۡنَ کَفَرُوا الۡحَیٰوۃُ الدُّنۡیَا
দুনিয়ার জীবন কাফেরদের কাছে সজ্জিত ও প্রলোভনস্বরূপ করা হয়েছে — অর্থাৎ তারা এই জীবনে শুধুমাত্র বাহ্যিক সুখ ও বিলাসিতা দেখে আকৃষ্ট হয়।
وَ یَسۡخَرُوۡنَ مِنَ الَّذِیۡنَ اٰمَنُوۡا
এবং তারা ঈমানদারদের নিয়ে কটূক্তি ও উপহাস করে — তারা বিশ্বাস ও নৈতিকতা নিয়ে বিদ্রূপ করে।
وَ الَّذِیۡنَ اتَّقَوۡا فَوۡقَهُمۡ یَوۡمَ الۡقِیٰمَۃِ
আর যারা আল্লাহভীতি করে, তারা কিয়ামতের দিনে এই কাফেরদের উপরে উচ্চতায় থাকবে — তারা ধৈর্য, সত্য ও ন্যায়বিচারের মাধ্যমে বিজয়ী হবে।
وَ اللّٰهُ یَرۡزُقُ مَنۡ یَّشَآءُ بِغَیْرِ حِسَابٍ
আর আল্লাহ যার ইচ্ছা তাকে অনির্ধারিতভাবে রিজিক দান করেন — আল্লাহর নিয়ন্ত্রণ ছাড়া কেউ কিছু পায় না।
এই আয়াতের মাধ্যমে আল্লাহ জানাচ্ছেন যে দুনিয়ার আনন্দ ও বিলাসিতা কুফরদের কাছে মাধুর্যপূর্ণ মনে হলেও তারা কিয়ামতের দিনের জন্য প্রস্তুত নয়। যারা আল্লাহ ভীতি করে তারা শেষপর্যন্ত জয়ের দিকে যাবে। আল্লাহর নিয়ন্ত্রণে সকল রিজিক বিতরণ হয়।
দুনিয়ার বিলাসিতা কুফরদের কাছে প্রলোভনস্বরূপ।
ঈমানদারদের প্রতি কুফরের বিদ্রূপ চলতেই পারে।
আল্লাহভীতির মাধ্যমে কিয়ামতের দিন সাফল্য অর্জন সম্ভব।
আল্লাহই রিজিকের উৎস এবং তিনি যা চান তা দেন।
সত্য ও ধৈর্যের সঙ্গে দৃঢ় থাকার প্রয়োজন।
এই আয়াত মদিনায় নাজিল হয় যখন নবী (সা.) ও তাঁর সাহাবাগণ কুফরদের ঠাট্টা ও উপহাসের সম্মুখীন হন। এই আয়াত তাদের ধৈর্য ধারণের আহ্বান ও ভবিষ্যতের জয় বর্ণনা করে।