আয়াতের প্রতিটি অংশের তাফসীর
وَ اِذَا قِیۡلَ لَهُ اتَّقِ اللّٰهَ
যখন তাকে বলা হয়, ‘আল্লাহকে ভীতি করো’ — অর্থাৎ সে যেন সরল ও বিনীত হয়, ন্যায়পরায়ণতার পথে চলে।
اَخَذَتۡهُ الۡعِزَّۃُ بِالۡاِثۡمِ
তখন অহংকার তার পাপের কারণে তাকে দখল করে নেয় — অর্থাৎ সে গর্বের কারণে পাপ করতে বাধ্য হয় এবং তা তার নিয়ন্ত্রণে চলে।
فَحَسْبُهٗ جَهَنَّمُ
তাহলে তার জন্য যথেষ্ট হবে জাহান্নাম — তার শাস্তি হবে নরক।
وَ لَبِئۡسَ الۡمِهَادُ
এবং কতইন নিকৃষ্ট শয্যা — নরকের শয্যা অত্যন্ত কষ্টদায়ক ও নিকৃষ্ট।
এই আয়াত গর্ব ও অহংকারের নেতিবাচক প্রভাব নির্দেশ করে, যা মানুষকে পাপের দিকে ঠেলে দেয়। যখন কাউকে আল্লাহভীতি করতে বলা হয়, কিন্তু সে গর্বের কারণে তা মানতে চায় না, তখন তার শাস্তি জাহান্নাম। আল্লাহ গর্বের বিরুদ্ধে সতর্ক করেছেন, কারণ তা মানুষের ধ্বংসের কারণ।
আল্লাহভীতি প্রতিটি মুসলিমের জন্য অপরিহার্য।
অহংকার পাপের সাথে মিশে মানুষের পতনের কারণ হয়।
গর্বী মানুষ আল্লাহর ইবাদত থেকে বিরত থাকে।
নরকের শাস্তি ভয়ংকর ও চিরস্থায়ী।
বিনীত ও নম্র থাকা জীবনের সফলতার চাবিকাঠি।
এই আয়াত মক্কায় নাজিল হয়, যেখানে কিছু লোক অহংকারে নিজেদের দুনিয়ায় সফল মনে করলেও আল্লাহভীতি থেকে বিমুখ ছিল। আল্লাহ তাদেরকে সতর্ক করেছেন যে অহংকার তাদের ধ্বংসের পথ।