আয়াতের প্রতিটি অংশের তাফসীর
وَ اِذَا تَوَلّٰی سَعٰی فِی الۡاَرۡضِ
আর যখন সে (অত্যাচারী বা জালিম ব্যক্তি) পৃথিবীতে বিচরণ করে — অর্থাৎ সে নির্দিষ্ট কোনো জায়গায় সীমাবদ্ধ নয়, বরং যেকোনো জায়গায় যা ইচ্ছা করে কাজ করে।
لِیُفۡسِدَ فِیۡهَا
যাতে সেখানে অনাচার ও বিকৃতি সৃষ্টি করে — তার উদ্দেশ্য হচ্ছে সমাজে বিশৃঙ্খলা ও পাপ বিস্তার করা।
وَ یُهۡلِکَ الۡحَرۡثَ وَ النَّسۡلَ
এবং ফসল (জমির উৎপাদন) ও বংশ (মানব প্রজনন) ধ্বংস করে — অর্থাৎ তার কর্মকাণ্ড সমাজের অর্থনৈতিক ও সামাজিক ভিত্তি নষ্ট করে।
وَ اللّٰهُ لَا یُحِبُّ الۡفَسَادَ
আর আল্লাহ فساد পছন্দ করেন না — আল্লাহ সৎ ও ন্যায়পরায়ণতা চান, তিনি অবিচার ও বিশৃঙ্খলাকে অপছন্দ করেন।
এই আয়াত মানুষের এমন একটি চরিত্র বা কার্যকলাপের প্রতি ইঙ্গিত, যারা সমাজে অশান্তি ও বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির জন্য কাজ করে। তারা অর্থনৈতিক ও সামাজিক স্থিতিশীলতা ধ্বংস করে এবং আল্লাহ তাদের কার্যকলাপের প্রতি বিরক্ত। আল্লাহ এই ধরনের অনাচারীদের বিরুদ্ধে সতর্ক করেছেন।
সমাজে অনাচার ও বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করা নিন্দনীয়।
পরিবেশ, অর্থনীতি ও প্রজনন ব্যবস্থার ধ্বংস নিষিদ্ধ।
আল্লাহ সৎ ও ন্যায়পরায়ণতা পছন্দ করেন।
জালিম ও দুরাচারীদের থেকে সতর্ক থাকতে হবে।
সমাজের কল্যাণে অবদান রাখা প্রত্যেকের দায়িত্ব।
এই আয়াত মক্কায় নাজিল হয়, যেখানে কিছু ব্যক্তিরা সমাজে বিশৃঙ্খলা ও অন্যায় ছড়াতো। আল্লাহ তাদের আচরণকে নিন্দা করে সমাজের শান্তি ও কল্যাণের গুরুত্ব স্মরণ করিয়ে দেন।