● أَمْ حَسِبْتُمْ أَنْ تُتْرَكُوا
– তুমি কি মনে করেছিলে যে তোমরা শুধু ছেড়ে দেওয়া হবে: এখানে আল্লাহ মুসলিমদের প্রতি প্রশ্ন করছেন, যে তারা কি মনে করে যে শুধু নামমাত্র মুসলিম হয়ে যাওয়ার কারণে আল্লাহ তাদের পরীক্ষা করবেন না?
● وَلَمَّا يَعْلَمِ اللَّٰهُ الَّذِينَ جَاهَدُوا مِنْكُمْ
– অথচ আল্লাহ জানবেন না যারা তোমাদের মধ্যে সাচ্ছন্দ্যে যুদ্ধ করেছে: আল্লাহ তাদের পরীক্ষা করবেন, যারা তাঁর পথে সংগ্রাম করেছে এবং মিথ্যাবাদী ও অবিশ্বাসীদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেছে।
● وَلَمْ يَتَّخِذُوا مِنْ دُونِ اللَّٰهِ وَ لَا رَسُولِهِ وَ لَا الْمُؤْمِنِينَ وَ لِيَجَةً
– এবং তারা আল্লাহ, তাঁর রাসূল ও মুমিনদের প্রতি নির্ভরশীল ছিল না: আল্লাহ এই আয়াতে জানাচ্ছেন যে, যারা আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের প্রতি অটুট আনুগত্য ও বিশ্বাস রাখে, তারা কোনো শক্তির জন্য তাদের কাছে আশ্রয় নেবে না।
● وَاللَّٰهُ خَبِيرٌ بِمَا تَعْمَلُونَ
– এবং আল্লাহ তোমাদের কাজ সম্পর্কে খুবই সচেতন: আল্লাহ জানেন তোমরা কী করছো, তাঁর পক্ষে কিছুই অজ্ঞাত নেই। তাই তিনি তোমাদের কাজের অনুযায়ী পুরস্কৃত বা শাস্তি দেবেন।
এই আয়াতে আল্লাহ মুসলিমদের উদ্দেশ্যে বলেছেন যে, তারা যদি সত্যিকার মুসলিম হয়, তবে তাদের পরীক্ষা নেওয়া হবে, এবং যারা আল্লাহর পথে সংগ্রাম করবে এবং আল্লাহ, রাসূল এবং মুমিনদের প্রতি পূর্ণ বিশ্বাস রাখবে, তারা পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হবে। আল্লাহ জানেন কে সত্যিকারভাবে মুমিন, আর কে শুধু নামমাত্র মুসলিম। তাই মুসলিমরা যেন তাদের ঈমানকে প্রমাণ করে।
মুসলিমদের জন্য কঠিন পরীক্ষা আসবে, যা তাঁদের ঈমান এবং নিষ্ঠা যাচাই করবে।
আল্লাহ আমাদের সব কাজ জানেন, এবং তিনি আমাদের কাজের অনুযায়ী আমাদেরকে পুরস্কৃত বা শাস্তি দেবেন।
ঈমানের দৃঢ়তা এবং আল্লাহ, রাসূল ও মুমিনদের প্রতি আস্থা পরীক্ষা করা হবে।
আল্লাহর পথে যুদ্ধ করা এবং তাঁর জন্য সংগ্রাম করা ঈমানের গুরুত্বপূর্ণ দিক।
এ আয়াতটি তখন নাযিল হয়েছিল যখন কিছু মুসলিম মনে করেছিলেন যে, তারা আল্লাহর পথে এক্ষেত্রে শুধু শরীরিকভাবে অংশগ্রহণ করে ঈমানী পরীক্ষা থেকে মুক্ত থাকতে পারবেন। এ আয়াতে তাদের মনে করিয়ে দেওয়া হয়েছে যে, শুধু বাহ্যিকভাবে মুসলিম হয়ে গেলে চলবে না; তাদের ঈমানের প্রকৃত মান ও আস্থা পরীক্ষা করা হবে, এবং যারা সত্যিকারভাবে আল্লাহ, তাঁর রাসূল এবং মুমিনদের প্রতি বিশ্বাস রাখে এবং তাঁর পথে সংগ্রাম করে, তারা প্রকৃত মুমিন হবে।