● وَيُذْهِبْ غَيْظَ قُلُوبِهِمْ
– এবং তিনি তাদের হৃদয়ের ক্রোধ দূর করবেন: এখানে আল্লাহর মেহেরবানির বর্ণনা দেওয়া হচ্ছে, যে তিনি মানুষের হৃদয়ের ক্রোধ দূর করেন। বিশেষ করে যারা শত্রুদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের পর শান্তি ও সান্ত্বনা অনুভব করে এবং তাদের গোমরাহ মন ও হিংসাত্মক মনোভাব থেকে মুক্তি পায়।
● وَيَتُوبُ اللَّٰهُ عَلَىٰ مَنْ يَشَاءُ
– এবং আল্লাহ যাকে ইচ্ছা, তার তওবা কবুল করবেন: আল্লাহ যাকে চান, তার তওবা কবুল করবেন। এটা মানবজাতির জন্য আশাবাদের খবর, কেননা আল্লাহ খুব সহজে তওবা কবুল করেন এবং যিনি দয়ালু, তিনি সব সময় মানুষকে ক্ষমা করেন।
● وَاللَّٰهُ عَلِيمٌ حَكِيمٌ
– আর আল্লাহ সর্বজ্ঞ, পরম প্রজ্ঞাময়: আল্লাহ সবার কাজ জানেন এবং যা কিছু ঘটে, তা সঠিকভাবে বিচার করেন। আল্লাহর জ্ঞান এবং প্রজ্ঞা অতুলনীয়, তিনি মানুষদের নিয়ন্ত্রণ করেন তাদের ভালো-মন্দের ওপর।
এ আয়াতে আল্লাহ মুসলিমদের জন্য এমন একটি প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন যে, তিনি তাদের শত্রুদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে জয় লাভের পর তাদের হৃদয়ে শান্তি ও প্রশান্তি দিবেন। এই শান্তি তাদের মাঝে ক্রোধ ও ক্ষোভ কমাবে। পাশাপাশি, তিনি তাদের তওবা কবুল করবেন, যদি তারা সঠিকভাবে ফিরে আসে এবং নিজের ভুলগুলো থেকে শিক্ষা নেয়। আল্লাহ সর্বজ্ঞ এবং প্রজ্ঞাময়, তাই তিনি জানেন কাকে ক্ষমা করবেন এবং কার জন্য তার জ্ঞানের সঙ্গে যথাযথ বিচার করবেন।
আল্লাহ মানুষের হৃদয়ের ক্রোধ দূর করেন এবং তাদেরকে শান্তি প্রদান করেন।
আল্লাহ সর্বদা মানুষকে ক্ষমা করার সুযোগ প্রদান করেন, যারা তাঁর দিকে ফিরে আসে এবং তওবা করে।
আল্লাহর জ্ঞান ও প্রজ্ঞা অশেষ, তিনি জানেন সব কিছু এবং তিনি যথাযথ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন।
তওবা এবং আল্লাহর প্রতি আনুগত্যের মাধ্যমে মানুষ তার গুনাহ থেকে মুক্তি পেতে পারে।
এই আয়াতটি মুসলমানদের যুদ্ধের সময় শান্তি ও সমাধান অর্জন সম্পর্কে কথা বলে। বিশেষত, এই আয়াতটি তাদের হৃদয়ে শান্তি আনার জন্য নাযিল হয়েছিল যারা শত্রুদের বিরুদ্ধে সংগ্রাম করছিল, যাতে তাদের ক্ষোভ ও বিদ্বেষ দূর হয়। আল্লাহ তাদের জন্য তওবার পথ খোলা রেখেছেন এবং তাঁর দয়ার মাধ্যমে তারা শান্তি অর্জন করতে পারে।