● فَسِیۡحُوۡا فِی الۡاَرۡضِ – "তাহলে পৃথিবীতে ভ্রমণ করো" – এখানে আল্লাহ মুশরিকদেরকে পৃথিবীতে চার মাস সময় দেয়ার নির্দেশ দিচ্ছেন। এই চার মাস তাদের জন্য চলাফেরা এবং নিজেদের অবস্থান সম্পর্কে ভাবার সময় ছিল। এটি তাদের শেষ সুযোগ, যদি তারা ইসলাম গ্রহণ করে, তবে তারা রক্ষা পাবে।
● اَرۡبَعَۃَ اَشۡهُرٍ – "চার মাস" – এই চার মাস ছিল মুশরিকদের জন্য একটি আলাদা সময়সীমা, যেটির মধ্যে তাদের ইসলামের পথে ফিরে আসার সুযোগ ছিল। কিন্তু তারা যদি সঠিক পথে না আসে, তবে তাদের জন্য কঠিন শাস্তি অপেক্ষা করছিল।
● وَّ اعۡلَمُوۡۤا اَنَّکُمۡ غَیۡرُ مُعۡجِزِی اللّٰهِ – "এবং জানো যে, তোমরা আল্লাহকে পরাস্ত করতে পারবে না" – মুশরিকদেরকে সতর্ক করা হচ্ছে যে, তারা আল্লাহকে পরাস্ত করতে সক্ষম নয়। আল্লাহর শক্তির বিরুদ্ধে তাদের কোনো ক্ষমতা নেই।
● وَ اَنَّ اللّٰهَ مُخۡزِی الۡکٰفِرِیۡنَ – "এবং নিশ্চয়ই আল্লাহ কাফিরদের লজ্জিত করবেন" – আল্লাহ তাদেরকে দুনিয়াতে লজ্জিত করবেন এবং পরকালে তাদের জন্য কঠিন শাস্তি প্রস্তুত রেখেছেন। কাফিরদের জন্য কোনো রেহাই নেই, এবং আল্লাহ তাদের অপমান করবেন।
এ আয়াতে মুশরিকদেরকে একটি নির্দিষ্ট সময় দেওয়া হচ্ছে পৃথিবীটিতে বিচরণ করার জন্য, কিন্তু তা সত্ত্বেও তারা যদি আল্লাহর পথে ফিরে না আসে, তবে তাদের বিরুদ্ধে আল্লাহর কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এ আয়াতে তাদেরকে স্পষ্টভাবে জানানো হচ্ছে যে, তারা আল্লাহকে পরাস্ত করতে পারবে না, বরং আল্লাহ তাদেরকে লজ্জিত করবেন।
এ আয়াত থেকে আমরা শিখি যে, আল্লাহর ইচ্ছা এবং শক্তির বিরুদ্ধে কিছুই করার ক্ষমতা মানুষের নেই। যখন আল্লাহ কাউকে সঠিক পথ প্রদর্শন দেন, তখন তাকে কোনো শক্তি বাধা দিতে পারে না। ইসলামের প্রতি অবিচল থাকতে হবে এবং আল্লাহর পথ অনুসরণ করতে হবে, অন্যথায় পরিণতি হবে ভয়াবহ।
এই আয়াতটি মক্কার মুশরিকদের বিরুদ্ধে নাযিল হয়েছিল। মুসলিমদের বিরুদ্ধে মুশরিকদের ষড়যন্ত্রের পর, আল্লাহ তাদেরকে চার মাস সময় দেয়ার ঘোষণা দিয়েছেন, যেন তারা ইসলামের দিকে ফিরে আসে। এই সময়ের মধ্যে, মুশরিকদের সামনে একটি সুযোগ ছিল নিজেদের ভুল থেকে ফিরে আসার, কিন্তু তারা যদি তা না করে, তবে তাদের বিরুদ্ধে কঠিন শাস্তি অপেক্ষা করছিল।