আয়াতের প্রতিটি অংশের তাফসীর
وَ اذۡکُرُوا اللّٰهَ فِیۡۤ اَیَّامٍ مَّعۡدُوۡدٰتٍ
নির্দিষ্ট কয়েক দিনে আল্লাহকে স্মরণ করো — এই দিনগুলো হজ্জের বিশেষ দিনের প্রতি ইঙ্গিত, যেমন আরাফাতের দিন ও মাশআরুল হারাম।
فَمَنۡ تَعَجَّلَ فِیۡ یَوۡمَیۡنِ فَلَاۤ اِثۡمَ عَلَیۡهِ
যে কেউ দুই দিনের মধ্যে তাড়াতাড়ি শেষ করে, তার প্রতি কোনো গুনাহ নেই — অর্থাৎ হজ্জের নিয়ম অনুযায়ী কিছুটা নমনীয়তা রয়েছে সময় ব্যবহারে।
وَ مَنۡ تَاَخَّرَ فَلَاۤ اِثۡمَ عَلَیۡهِ
আর যে কেউ দেরি করে, তার প্রতি কোনো গুনাহ নেই — দেরি করলেও আল্লাহ অসহিষ্ণু নন, যদি কৃতজ্ঞতা ও ভক্তি থাকে।
لِمَنِ اتَّقٰی
এটি আল্লাহভীতি সম্পন্ন মানুষের জন্য — এই নমনীয়তা ও মাফের শর্ত হল তাকওয়া।
وَ اتَّقُوا اللّٰهَ وَ اعۡلَمُوۡۤا اَنَّکُمۡ اِلَیۡهِ تُحۡشَرُوۡنَ
আল্লাহকে ভয় করো এবং জানো যে, তোমরা অবশ্যই তার সামনে সমবেত হবে — সতর্কতা ও পরকালের গুরুত্ব স্মরণ করানো হয়েছে।
এই আয়াত মুসলমানদেরকে নির্দেশ দেয় হজ্জের নির্দিষ্ট পবিত্র দিনে আল্লাহর স্মরণ ও ইবাদত করতে। এখানে সময় সম্পর্কে নমনীয়তা থাকলেও, আল্লাহভীতি ছাড়া তা গ্রহণযোগ্য নয়। সাথে আখিরাতে আল্লাহর সামনে সমবেত হওয়ার সত্যতা স্মরণ করানো হয়েছে, যা মানুষের হিসাব-নিকাশের দিন।
হজ্জের নির্দিষ্ট দিনে আল্লাহর স্মরণ গুরুত্বপূর্ণ।
সময় ব্যবহারে নমনীয়তা থাকলেও আল্লাহভীতি অপরিহার্য।
আল্লাহভীতি ছাড়া কোনো ইবাদত গ্রহণযোগ্য নয়।
পরকালে আল্লাহর সামনে সমবেত হওয়ার বাস্তবতা মানতে হবে।
সতর্কতা ও ভয়ের মাধ্যমে ন্যায়পরায়ণ জীবন যাপন করা উচিত।
এই আয়াত মদিনায় নাজিল হয়, যেখানে মুসলমানদের হজ্জের বিধি-বিধান ও ইবাদতের সময় সম্পর্কে শিক্ষা দেয়া হয়। এটি তাদেরকে সময় ব্যবহারে নমনীয়তা ও আল্লাহভীতি বজায় রাখার দিক নির্দেশ করে।