আয়াতের প্রতিটি অংশের তাফসীর
وَ مِنۡهُمۡ مَّنۡ یَّقُوۡلُ رَبَّنَاۤ اٰتِنَا فِی الدُّنۡیَا حَسَنَۃً
আর তাদের মধ্যে এমন লোকও আছে যারা প্রার্থনা করে যে, হে আমাদের রব, দুনিয়াতে আমাদের জন্য সুন্দর ও কল্যাণকর জীবন দাও — অর্থাৎ তারা দুনিয়ার মঙ্গল ও সুবিধার জন্য দোয়া করে।
وَّ فِی الۡاٰخِرَۃِ حَسَنَۃً
এবং আখিরাতে তাদের জন্যও কল্যাণ এবং সাফল্য দাও — শুধু দুনিয়া নয়, পরকালের জন্যও সুরক্ষা ও সুখ কামনা করে।
وَّ قِنَا عَذَابَ النَّارِ
এবং আমাদেরকে নরকের শাস্তি থেকে রক্ষা কর — নরকের শাস্তি থেকে মুক্তি চাওয়া ঈমানের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অংশ।
এই আয়াত মানুষের হৃদয়ের একটি পূর্ণাঙ্গ দোয়ার পরিচয় বহন করে, যেখানে তারা দুনিয়া ও আখিরাত উভয়ের কল্যাণ কামনা করে। এটি ইসলামের সামঞ্জস্যপূর্ণ জীবন দর্শনের প্রকাশ, যেখানে দুনিয়ার ও পরকালের মঙ্গল উভয়ই কাম্য। পাশাপাশি, নরকের শাস্তি থেকে মুক্তির আকাঙ্ক্ষাও ঈমানের গভীরতা নির্দেশ করে।
একজন সৎ মুসলমান দুনিয়া ও আখিরাত উভয়ের কল্যাণ চায়।
দুনিয়ার কল্যাণ মানে শুধুমাত্র শারীরিক নয়, বরং নৈতিক ও আধ্যাত্মিক উন্নতি।
আখিরাতের কল্যাণ ছাড়া দুনিয়ার কল্যাণ অপ্রতুল।
নরকের শাস্তি থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য আল্লাহর কাছে দোয়া করা জরুরি।
এই দোয়া জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে মুল্যবান।
এই আয়াত মক্কায় নাজিল হয় যখন মুসলমানদের দোয়া ও বিশ্বাসের ব্যাখ্যা প্রয়োজন ছিল। যারা দুনিয়া ও আখিরাত উভয়কেই গুরুত্ব দেয় তাদের জন্য আল্লাহর দয়ালুতা ও সাহায্যের আশ্বাস দেয়।