আয়াতের প্রতিটি অংশের তাফসীর
فَاِذَا قَضَیۡتُمۡ مَّنَاسِکَکُمۡ
অতঃপর যখন তোমরা তোমাদের হজ্জের সকল রীতিনীতি সম্পন্ন করবে — অর্থাৎ হজ্জের মূল ইবাদতসমূহ শেষ হওয়ার সময়।
فَاذۡکُرُوا اللّٰهَ کَذِکْرِکُمۡ اٰبَآءَکُمۡ اَوۡ اَشَدَّ ذِکۡرًا
তখন তোমরা আল্লাহকে স্মরণ করো যেমন তোমরা তোমাদের পূর্বপুরুষদের স্মরণ করো বা তার চেয়েও বেশি — অর্থাৎ আল্লাহর প্রতি বেশি মনোযোগী হও, তার স্মরণ জীবনের সর্বক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠিত করো।
فَمِنَ النَّاسِ مَن یَّقُوۡلُ رَبَّنَاۤ اٰتِنَا فِی الدُّنۡیَا
মানুষের মধ্যে এমন মানুষও আছে যারা বলে, ‘হে আমাদের رب, আমাদেরকে দুনিয়াতে দাও’ — তারা দুনিয়াবাদী ও সীমাবদ্ধ ইচ্ছাবৃন্দ।
وَمَا لَهٗ فِی الۡاٰخِرَۃِ مِنۡ خَلَاقٍ
তাদের আখিরাতে কোনো অংশ নেই — তারা আখিরাতের দুনিয়া থেকে বিচ্ছিন্ন, তার কোনো হিত বা সঞ্চয় নেই।
এই আয়াত হজ্জ শেষে আল্লাহর স্মরণ এবং তওবা ও ভক্তির গুরুত্বের ওপর আলোকপাত করে। আল্লাহর স্মরণ এবং ভক্তি পূর্বপুরুষদের স্মরণের চেয়েও গভীর হওয়া উচিত। অন্যদিকে, আয়াত তুলে ধরে এমন লোকদের যারা শুধু দুনিয়াবাদী, যারা আখিরাতের বিষয়ে অবজ্ঞা করে, তাদের ভাগ্যে শাস্তি রয়েছে।
হজ্জ শেষে আল্লাহর প্রতি স্মৃতিচারণ ও ভক্তি বৃদ্ধি করা জরুরি।
আল্লাহর স্মরণ পূর্বপুরুষদের স্মরণের চেয়ে বেশি দৃঢ় হওয়া উচিত।
দুনিয়াবাদীরা আখিরাতের অবহেলা করে, যা তাদের জন্য ক্ষতিকর।
ইবাদত জীবনে আখিরাতকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিতে হবে।
আখিরাত ছাড়া দুনিয়ার সম্পদ মূল্যহীন।
এই আয়াতটি মক্কায় নাজিল হয়, যেখানে কিছু লোক শুধু দুনিয়ার জীবনের জন্যই প্রার্থনা করত এবং আখিরাত সম্পর্কে অবহেলা করত। আল্লাহ তাদের এই মনোভাবের প্রতি সাবধান করে দিয়েছেন এবং সৎ বিশ্বাসীদের জন্য হজ্জ শেষে আল্লাহর স্মরণ ও তওবার নির্দেশ দিয়েছেন।