আয়াতের প্রতিটি অংশের তাফসীর
ثُمَّ اَفِیۡضُوۡا مِنۡ حَیۡثُ اَفَاضَ النَّاسُ
তারপর তোমরা সেখানে থেকে বিচ্ছুরিত হও যেখানে লোকজন বিচ্ছুরিত হয়েছে — অর্থাৎ আরাফাত থেকে উত্তরণের পর মুসলিম উম্মাহ মাশআরুল হারাম বা অন্য নির্দিষ্ট স্থানগুলোতে ছড়িয়ে পড়ে। এটি হজ্জের একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ।
وَ اسۡتَغۡفِرُوا اللّٰهَ
আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করো — ছড়িয়ে পড়ার সঙ্গে সঙ্গে আল্লাহর দয়া ও মাফ চাওয়ার আদেশ, যা ইবাদতের পরিপূর্ণতা ও নিকটতা বৃদ্ধি করে।
اِنَّ اللّٰهَ غَفُوۡرٌ رَّحِیۡمٌ
নিশ্চয়ই আল্লাহ ক্ষমাশীল, দয়ালু — আল্লাহর ক্ষমা ও করুণা অসীম, তিনি সব পাপ মাফ করে দেন যদি তওবা সত্যিকারের হয়।
এই আয়াত হজ্জের আরাফাত পর্ব শেষ হওয়ার নির্দেশ দেয় এবং মুসলিমদেরকে পরবর্তী ধাপে এগিয়ে গিয়ে আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করার তাগিদ দেয়। হজ্জের প্রতিটি ধাপ আল্লাহর কাছে নিকট হওয়ার এবং পাপ মুক্তির সুযোগ। আল্লাহর ক্ষমাশীল ও দয়ালু হওয়ায়, সত্যিকার তওবা সব সময় গ্রহণযোগ্য।
ইবাদতের প্রতিটি ধাপ গুরুত্বপূর্ণ।
আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা অবিচ্ছিন্ন হওয়া উচিত।
আল্লাহ ক্ষমাশীল ও দয়ালু, তাই অনুতাপ সৎকারযোগ্য।
হজ্জ বা যেকোনো ইবাদত হল আল্লাহর কাছে ফিরে আসার সুযোগ।
পাপ মাফের জন্য সবসময় আল্লাহর রহমত কামনা করতে হবে।
এই আয়াত হজ্জের আরাফাত ময়দান থেকে মুসলিমদের উত্তরণের সময় নাজিল হয়। এতে তাদের পরবর্তী পদক্ষেপ এবং আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনার গুরুত্ব শেখানো হয়েছে।