আয়াতের প্রতিটি অংশের তাফসীর
لَیۡسَ عَلَیۡکُمۡ جُنَاحٌ اَنۡ تَبۡتَغُوۡا فَضۡلًا مِّنۡ رَّبِّکُمۍ
তোমাদের উপর কোনো পাপ নেই যদি তোমরা তোমাদের রবের কাছ থেকে অনুগ্রহ প্রত্যাশা করো — অর্থাৎ হজ্জ ও উমরাহর সময় বা অন্যান্য ইবাদতে আল্লাহর দয়ালু বরকত ও রিযিক চাইতে কোনো অপবাদ নেই।
فَاِذَاۤ اَفَضۡتُمۡ مِّنۡ عَرَفٰتٍ
যখন তোমরা আরাফাত থেকে নামবে — আরাফাত ময়দান হজ্জের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ স্থান, যেখানে দাঁড়িয়ে দোয়া ও তওবা করা হয়।
فَاذۡکُرُوا اللّٰهَ عِنۡدَ الۡمَشۡعَرِ الۡحَرَامِ
মাশআরুল হারামে আল্লাহর স্মরণ করো — এই পবিত্র স্থানে আল্লাহর নাম উচ্চারণ এবং তার স্মরণ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
وَ اذۡکُرُوۡهُ کَمَا هَدٰىکُمۡ
যেমনভাবে তিনি তোমাদের সঠিক পথ দেখিয়েছেন তেমনিভাবে তাকে স্মরণ করো — আল্লাহর নির্দেশনা ও হেদায়েতের প্রতি কৃতজ্ঞতা ও আনুগত্যের প্রকাশ।
وَ اِ نۡ کُنۡتُمۡ مِّنۡ قَبۡلِهٖ لَمِنَ الضَّآلِّیۡنَ
আর যদি তোমরা আগেই পথভ্রষ্ট ছিলে, তবে অবশ্যই তুমি পথভ্রষ্টদের একজন — অতীতের ভুল থেকে শিক্ষা নিয়ে সঠিক পথে ফিরে আসার নির্দেশ।
এই আয়াতটি মুসলমানদেরকে মনে করিয়ে দেয় যে, আল্লাহর অনুগ্রহ ও বরকতের জন্য কোনো ভুল বা সীমাবদ্ধতা নেই। হজ্জের গুরুত্বপূর্ণ অংশ আরাফাত থেকে নামার সময় আল্লাহর স্মরণ এবং তার নির্দেশনার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ অপরিহার্য। অতীতের পথভ্রষ্টতা স্বীকার করে আল্লাহর কাছে ফিরে আসা ধর্মীয় জীবনের এক গুরুত্বপূর্ণ শিক্ষা।
আল্লাহর অনুগ্রহ প্রত্যাশায় কোনো হرج নেই।
হজ্জের সময় আল্লাহর স্মরণ ও কৃতজ্ঞতা জরুরি।
অতীতের ভুল থেকে শিক্ষা নিয়ে সঠিক পথে চলা উচিত।
আল্লাহর দয়ালুতা ও হেদায়েতের প্রতি বিশ্বাস ও আনুগত্য।
ইবাদত জীবনের ধারাবাহিক উন্নতির প্রয়োজন।
এই আয়াতটি হজ্জের ইবাদত চলাকালীন নাজিল হয়, যেখানে মুসলমানরা আরাফাত ময়দান থেকে নামার সময় আল্লাহর স্মরণ ও তার নির্দেশনা মেনে চলার গুরুত্ব সম্পর্কে শিক্ষা পেয়েছিল। এটি তাদের অতীত পথভ্রষ্টতা থেকে শিক্ষা নিয়ে সঠিক পথে চলার আহ্বান।