আয়াতের প্রতিটি অংশের তাফসীর
اُولٰٓئِکَ عَلَیۡهِمۡ صَلَوٰتٌ مِّنۡ رَّبِّهِمۡ —
“ওই ব্যক্তির উপর আল্লাহর পক্ষ থেকে সালাম বর্ষিত হয়।” অর্থাৎ, আল্লাহ তাদের প্রতি শান্তি, বরকত এবং প্রশংসা পাঠান যারা ধৈর্যশীল ও ঈমানদার।
وَ رَحۡمَۃٌ ۟ —
এখানে ‘রহমত’ বলতে আল্লাহর মেহেরবানী, সাহায্য এবং দয়া বোঝানো হয়েছে। যাদের উপর আল্লাহর রহমত নাযিল হয়, তারা জীবনের প্রতিটি কঠিন মুহূর্তে আল্লাহর সাহায্য ও করুণার অংশীদার হন।
وَ اُولٰٓئِکَ هُمُ الۡمُهۡتَدُوۡنَ —
তারা হলেন ‘মুহতাদীন’, অর্থাৎ যারা সঠিক পথ অনুসরণ করে, যারা হেদায়েতপ্রাপ্ত, যারা আল্লাহর নির্দেশনা মেনে জীবনের পথ চলছেন।
এই আয়াতটি আগের আয়াতের ধারাবাহিকতা এবং পুরস্কার হিসেবে এসেছে। যারা ধৈর্যশীল এবং বিপদে আল্লাহর স্মরণ করে, তারা আল্লাহর বিশেষ বরকত ও রহমতের অধিকারী হন। তাদের জন্য আল্লাহর পক্ষ থেকে শান্তি ও করুণা বর্ষিত হয় এবং তারা হেদায়েতপ্রাপ্ত বলে বিবেচিত হন। এটা একটি দৃষ্টি দেয় যে ধৈর্যশীল ও সৎ পথ অনুসরণকারী ব্যক্তিরা আল্লাহর বিশেষ প্রশংসা পায়।
ধৈর্যধারণকারীদের উপর আল্লাহর বিশেষ করুণা ও প্রশান্তি বর্ষিত হয়।
যারা সঠিক পথে থাকে, তারা আল্লাহর সন্তুষ্টির অধিকারী।
আল্লাহর রহমত ও শান্তি একটি ঈমানদার জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ।
ধৈর্য ও সঠিক পথ অনুসরণ করলে জীবনে আল্লাহর বরকত নেমে আসে।
এই আয়াতটি পূর্ববর্তী আয়াতের পর নাযিল হয়েছে, যেখানে আল্লাহ মুমিনদের ধৈর্য ধারণ করার জন্য প্ররোচনা দিয়েছেন। যারা আল্লাহর প্রতি তাদের বিশ্বাস অটুট রেখে ধৈর্য ধারণ করেছে, তাদের জন্য আল্লাহ এই আয়াতে তার করুণা, শান্তি ও হেদায়েতের ঘোষণা দিয়েছেন। এটি মুমিনদের জন্য একটি বিশাল সান্ত্বনা ও উৎসাহ।