আয়াতের প্রতিটি অংশের তাফসীর
تِلۡکَ اُمَّۃٌ قَدۡ خَلَتۡ —
এখানে পূর্ববর্তী এক বা একাধিক জাতির বর্ণনা দেওয়া হয়েছে যারা সময়ের পরিপ্রেক্ষিতে তাদের দায়িত্ব পালন শেষ করেছে এবং ইতিহাসে চলে গেছে।
لَهَا مَا کَسَبَتۡ —
তাদের অর্জিত ফল বা পুরস্কার তাদের জন্য নির্ধারিত থাকবে, অর্থাৎ তারা তাদের কর্মের ফল ভোগ করবে।
وَلَکُمۡ مَّا کَسَبۡتُمۡ —
তোমরা তোমাদের কর্মের ফল নিজেরাই গ্রহণ করবে, আলাদা আলাদা হিসাব থাকবে।
وَلَا تُسۡـَٔلُوۡنَ عَمَّا کَانُوۡا یَعۡمَلُوۡنَ —
তোমাদেরকে তাদের কাজের জন্য জিজ্ঞাসা করা হবে না, অর্থাৎ প্রত্যেক ব্যক্তি নিজ নিজ কাজের জন্য দায়ী।
এই আয়াতে আল্লাহ পূর্ববর্তী জাতিগুলোকে স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন যারা তাদের আমল ও কর্মের ভিত্তিতে বিচার পেয়েছে এবং তাদের দায়িত্ব শেষ হয়ে গেছে। প্রত্যেক জাতি নিজের আমল অনুযায়ী বিচার পাবে এবং অন্য জাতির জন্য দায়ী হবে না। এ শিক্ষা মানুষের মধ্যে ব্যক্তিগত দায়িত্ববোধ ও আমল করার গুরুত্ব বুঝায়।
প্রত্যেক জাতি ও ব্যক্তি নিজের কর্মের জন্য দায়ী।
পূর্ববর্তী জাতিদের ইতিহাস থেকে শিক্ষা নিতে হবে।
অন্যদের কাজের জন্য কাউকে দায়ী করা হবে না।
আল্লাহর বিচার ন্যায়পরায়ণ ও নিস্পক্ষ।
মক্কায় মুশরিকদের মধ্যে পূর্বপুরুষদের সম্পর্কে বিতর্ক থাকাকালীন এই আয়াত নাযিল হয়, যা প্রতিটি জাতির আলাদা আলাদা হিসাব এবং দায়িত্বের বিষয় স্পষ্ট করে। নবী ও মুসলমানদের জন্য এটি এক শক্তিশালী শিক্ষা হিসেবে কাজ করে যে, প্রত্যেককে নিজের আমল বিচার করতে হবে।