আয়াতের প্রতিটি অংশের তাফসীর
اَمۡ تَقُوۡلُوۡنَ —
এখানে নবীকে নির্দেশ দেওয়া হচ্ছে, মুশরিকদের কাছে প্রশ্ন করতে, “তোমরা কি বলবে?” অর্থাৎ তাদের বক্তব্যের সত্যতা যাচাই করা হচ্ছে।
اِنَّ اِبۡرٰهٖمَ وَ اِسۡمٰعِیۡلَ وَ اِسۡحٰقَ وَ یَعۡقُوۡبَ وَ الۡاَسۡبَاطَ کَانُوۡا هُوۡدًا اَوۡ نَصٰرٰ —
এই উল্লেখিত পবিত্র পূর্বপুরুষ ও নবীদের বিষয়ে মুশরিকরা দাবি করেছিল যে তারা ইহুদী বা খ্রিস্টান ধর্মের অনুসারী ছিল।
قُلۡ ءَاَنۡتُمۡ اَعۡلَمُ اَمِ اللّٰهُ —
নবীকে বলা হয়েছে, তাদের জিজ্ঞেস করো, “তোমরা কি বেশি জানো, না আল্লাহ?” অর্থাৎ আল্লাহই সর্বজ্ঞ, তোমাদের দৃষ্টিভঙ্গি ভুল হতে পারে।
وَمَنۡ اَظۡلَمُ مِمَّنۡ کَتَمَ شَهَادَۃً عِنۡدَهٗ مِنَ اللّٰهِ —
যারা আল্লাহর কাছে থাকা পরিষ্কার সাক্ষ্য (সত্য) লুকায় বা গোপন করে, তারা সবচেয়ে বড় অন্যায়কারী।
وَمَا اللّٰهُ بِغَافِلٍ عَمَّا تَعۡمَلُوۡنَ —
আল্লাহ তোমাদের কাজের প্রতি সজাগ ও অবহিত, তিনি গাফেল নন।
এই আয়াতে আল্লাহ নবীকে নির্দেশ দিচ্ছেন, মুশরিকদের সামনে তাদের ভুল ধারণা উত্থাপন করতে, যারা পবিত্র পূর্বপুরুষদের অবৈধভাবে ইহুদী বা খ্রিস্টান দাবি করে থাকে। আল্লাহই সবচেয়ে ভালো জানেন তাদের আসল ধর্ম অবস্থা। যারা আল্লাহর কাছে থাকা সত্য লুকায়, তাদেরকে সবচেয়ে বড় অন্যায়কারী হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়েছে। আল্লাহ সবকিছু জানেন এবং তাঁর নজর সর্বদা মানুষের কাজের উপরে রয়েছে।
পবিত্র পূর্বপুরুষ ও নবীদের আসল ধর্ম সম্পর্কে সঠিক ধারণা থাকা জরুরি।
আল্লাহর জ্ঞানের চেয়ে কারো জ্ঞান বেশি নয়।
সত্য লুকানো বা বিকৃতি করা আল্লাহর সামনে সবচেয়ে বড় পাপ।
আল্লাহ সবার কাজ সম্পর্কে সচেতন এবং বিচার করবেন।
মক্কায় মুশরিকরা নবী ও মুসলিমদের প্রশ্ন করেছিল, পূর্বপুরুষরা কোন ধর্মের অনুসারী ছিল? এ আয়াতের মাধ্যমে তাদের ভুল ধারণার প্রতিবাদ এবং আল্লাহর সর্বজ্ঞতা সম্পর্কে শিক্ষা দেওয়া হয়েছে।