আয়াতের প্রতিটি অংশের তাফসীর
سَیَقُوۡلُ السُّفَهَآءُ مِنَ النَّاسِ —
এখানে ‘সুফেহা’ অর্থ ‘অজ্ঞ বা মূর্খ’ লোকদের কথা বলা হয়েছে যারা বিভ্রান্তিকর ও অপ্রমাণিত কথা বলবে।
مَا وَلّٰىهُمۡ عَنۡ قِبۡلَتِهِمُ الَّتِیۡ کَانُوۡ عَلَیۡهَا —
তারা প্রশ্ন করবে কেন মুসলমানরা তাদের পূর্বের কিবলাত (যদি পূর্বে অন্য কিবলাত ছিলো) থেকে মুখ ফিরিয়েছে।
قُل لِلّٰهِ الۡمَشۡرِقُ وَ الۡمَغۡرِبُ —
এখানে আল্লাহর কর্তৃত্ব এবং সবকিছুর মালিকানা নির্দেশ করা হয়েছে; পূর্ব ও পশ্চিম আল্লাহরই। অর্থাৎ, আল্লাহ যেখানেই পথপ্রদর্শন করতে চান, তিনি করবেন।
یَهۡدِیۡ مَن یَّشَآءُ اِلٰى صِرَاطٍ مُّسۡتَقِیۡمٍ —
আল্লাহ ইচ্ছেমতো লোকদের সরল ও সঠিক পথে পরিচালিত করেন। এই পথ হলো নেক কাজ ও সৎ পথ।
এই আয়াতে বলা হয়েছে, কিছু লোক মুসলমানদের কিবলাত পরিবর্তনের বিষয় নিয়ে প্রশ্ন তুলবে। তারা বলবে, কেন তারা তাদের পূর্বের কিবলাত থেকে মুখ ফিরিয়েছে। এই প্রশ্ন মূর্খতা থেকে উদ্ভূত এবং আল্লাহর কর্তৃত্বের বিরুদ্ধে অবজ্ঞাসূচক। আল্লাহ উত্তরে বলেন, পূর্ব এবং পশ্চিম উভয়ই তারই অধীন, এবং তিনি যাকে চান সরল পথের দিকে পরিচালিত করেন। এখানে মূল শিক্ষা হলো, পথ পরিবর্তন আল্লাহর ইচ্ছানুযায়ী এবং তাঁর নির্দেশিত পথই সঠিক পথ।
আল্লাহর ইচ্ছা ছাড়া কেউ সঠিক পথের দিকে পরিচালিত হতে পারে না।
কিবলাত পরিবর্তন আল্লাহর কর্তৃত্বাধীন।
অজ্ঞদের প্রশ্ন বা সন্দেহকে গুরুত্ব না দেওয়া।
সরল পথ অনুসরণ করাই সঠিক জীবনযাপন।
মক্কায় মুসলমানরা যখন মক্কা থেকে মদীনার দিকে কিবলাত পরিবর্তন করল, তখন কাবার কিবলাতের সাথে অভ্যস্ত কিছু লোক কিবলাত পরিবর্তনের ব্যাপারে প্রশ্ন তুলেছিল। এই আয়াত তাদের প্রশ্নের জবাব দেয় এবং আল্লাহর কর্তৃত্ব ও পথ প্রদর্শনের বিষয় স্পষ্ট করে।