رَبَّنَا وَ ابۡعَثۡ فِیۡهِمۡ رَسُوۡلًا مِّنۡهُمۡ
হে আমাদের রব! তাদের (ইসমাঈলের বংশধরদের) মধ্য থেকে একজন রাসূল প্রেরণ করুন, যেন সে তাদের ভাষা, সংস্কৃতি ও সমাজ বুঝে দাওয়াত দিতে পারে।
یَتۡلُوۡا عَلَیۡهِمۡ اٰیٰتِکَ
যিনি তাদের কাছে আপনার আয়াতসমূহ তিলাওয়াত করবেন, যাতে তারা আল্লাহর বাণী শুনে বুঝতে ও হৃদয়ে গ্রহণ করতে পারে।
وَ یُعَلِّمُهُمُ الۡکِتٰبَ وَ الۡحِکۡمَۃَ
যিনি তাদেরকে কিতাব (আল্লাহর বিধান) ও হিকমাহ (জ্ঞান, সুন্নাহ ও জ্ঞানের প্রজ্ঞা) শিক্ষা দিবেন।
وَ یُزَکِّیۡهِمۡ
এবং তাদের আত্মাকে পরিশুদ্ধ করবেন—অর্থাৎ চরিত্র, মন ও কাজকে পবিত্র করে তোলার কাজে নেতৃত্ব দিবেন।
اِنَّکَ اَنۡتَ الۡعَزِیۡزُ الۡحَکِیۡمُ
নিশ্চয়ই আপনি পরাক্রমশালী এবং প্রজ্ঞাময়। আপনি যাকে চান, যেভাবে চান, হেদায়াত দেন এবং প্রেরণ করেন।
এই আয়াতটি নবী ইব্রাহীম ও ইসমাঈল (আ.)-এর দোয়াগুলোর একটি, যেখানে তাঁরা ভবিষ্যতের জন্য এমন একজন রাসূলের আগমনের প্রার্থনা করেছেন, যিনি মানুষকে সত্যের পথে পরিচালিত করবেন। এই দোয়ারই ফলাফল হচ্ছেন হযরত মুহাম্মদ (সা.)—যিনি আরবদের মধ্য থেকে আসেন, কুরআন তিলাওয়াত করেন, কিতাব ও হিকমাহ শিক্ষা দেন এবং উম্মতের আত্মাকে পরিশুদ্ধ করেন।
ভবিষ্যৎ প্রজন্মের হেদায়াতের জন্য দোয়া করা নবীদের আদর্শ।
রাসূলের দায়িত্ব শুধু কিতাব তিলাওয়াত নয়, বরং শিক্ষা দেওয়া এবং আত্মশুদ্ধিও এর অংশ।
আল্লাহর বাণী ও নবীর শিক্ষার মাধ্যমে আত্মিক পরিশুদ্ধি অর্জন হয়।
আল্লাহ তায়ালা ক্ষমতার অধিকারী এবং প্রজ্ঞার সাথে সব কিছু পরিচালনা করেন।
এই আয়াতটি কাবা নির্মাণকালীন দোয়াসমূহের অন্তর্গত। নবী ইব্রাহীম ও ইসমাঈল (আ.)-এর এ দোয়ার মাধ্যমে বোঝা যায়, তারা শুধু একটি ঘর বানানো নয় বরং মানবতার হেদায়াতের জন্য রাসূল প্রেরণের মতো বৃহৎ পরিকল্পনাও করছিলেন। এই দোয়ারই বাস্তবায়ন হয়েছে যখন মুহাম্মদ (সা.) কে শেষ নবী হিসেবে প্রেরণ করা হয়।