وَ اِذۡ جَعَلۡنَا الۡبَیۡتَ مَثَابَۃً لِّلنَّاسِ وَ اَمۡنًا —
আল্লাহ তাআলা মানুষদের জন্য কাবা ঘরকে একটি নিরাপদ আশ্রয়স্থল ও আরামদায়ক স্থান হিসেবে প্রতিষ্ঠা করেছেন, যেখানে মানুষ নিরাপদে এসে ইবাদত করতে পারে।
وَ اتَّخِذُوۡا مِنۡ مَّقَامِ اِبۡرٰهٖمَ مُصَلًّی —
আল্লাহ নির্দেশ দিয়েছেন যে, ইব্রাহীম (আলাইহিস সালাম)-এর স্থানের কাছ থেকে নামাজ আদায় করার স্থান গ্রহণ করতে হবে, যা মকামের মর্যাদা রাখে এবং ঐতিহাসিক ও ধার্মিক গুরুত্ব বহন করে।
وَ عَهِدۡنَاۤ اِلٰۤی اِبۡرٰهٖمَ وَ اِسۡمٰعِیۡلَ —
আল্লাহ তাদের প্রতি একটি বিশেষ চুক্তি বা অঙ্গীকার করেছেন, যা ইব্রাহীম ও তাঁর সন্তান ইসমাঈলকে নির্দেশ দেয়।
أَن طَهِّرَا بَیۡتِیَ لِلطَّآئِفِیۡنَ وَ الۡعٰکِفِیۡنَ وَ الرُّکَّعِ السُّجُوۡدِ —
তারা আল্লাহর ঘরকে পরিশুদ্ধ করবেন — যারা তাওয়াফ করে এবং যারা ইবাদতে লিপ্ত থাকে, বিশেষ করে যাঁরা রুকু ও সেজদায় অবস্থান করেন, অর্থাৎ, যারা আন্তরিক ও নিয়মিত ইবাদত করে।
এই আয়াতে আল্লাহ তাআলা কাবা শরীফকে মানুষের জন্য নিরাপত্তা ও আরামের স্থান হিসেবে ঘোষণা করেছেন। এটি শুধু একটি পবিত্র স্থান নয়, বরং ঈমানদারদের জন্য বিশেষ সুরক্ষা ও প্রশান্তির কেন্দ্র। এছাড়াও, ইব্রাহীম ও ইসমাঈলকে আল্লাহ ঘরটি পরিশুদ্ধ রাখার দায়িত্ব দিয়েছেন, যা তাওয়াফ, ইবাদত ও নামাজের জন্য অপরিহার্য।
আমাদের উচিত পবিত্র কাবা ও মকামের মর্যাদা বুঝে তার প্রতি সম্মান প্রদর্শন করা এবং নিয়মিত ইবাদত, তাওয়াফ, নামাজ ও অন্য আরাকানে ইসলামের প্রতি আন্তরিক থাকা। পরিশুদ্ধতা ও নিষ্ঠার সাথে ইবাদত করার গুরুত্ব এ আয়াত থেকে বোঝা যায়।
এই আয়াতটি মক্কা মহানগরের পবিত্র স্থান কাবাকে প্রতিষ্ঠিত করার সময় নাযিল হয়েছিল, যখন আল্লাহ তাআলা ইব্রাহীম ও ইসমাঈলকে ঘর পরিস্কার ও পরিপূর্ণ করার দায়িত্ব দেন, যা মুসলমানদের জন্য ধর্মীয় ও সামাজিক নির্দেশনা হিসেবে গ্রহণ করা হয়।