وَ اِذِ ابۡتَلٰۤی اِبۡرٰهٖمَ رَبُّهٗ بِکَلِمٰتٍ فَاَتَمَّهُنَّ —
যখন আল্লাহ ইব্রাহীমকে বিভিন্ন পরীক্ষার মাধ্যমে যাচাই করলেন এবং তিনি সেই পরীক্ষা সফলভাবে সম্পূর্ণ করলেন। ‘কথা’ বলতে বিভিন্ন আদেশ, নির্দেশনা এবং পরীক্ষাগুলো বুঝানো হয়েছে।
قَالَ اِنِّیۡ جَاعِلُکَ لِلنَّاسِ اِمَامًا —
আল্লাহ তার সাথে এই ঘোষণা করলেন যে, তিনি তাকে মানুষদের জন্য নেতা (ইমাম) বানাবেন। অর্থাৎ, তিনি হবে পথ প্রদর্শক ও উদাহরণ।
قَالَ وَ مِنۡ ذُرِّیَّتِیۡ —
ইব্রাহীম জিজ্ঞাসা করলেন, এই নেতৃত্ব তার বংশধরদের মধ্যেও প্রযোজ্য হবে কিনা।
قَالَ لَا یَنَالُ عَهۡدِی الظّٰلِمِیۡنَ —
আল্লাহ বললেন, এই চুক্তি অন্যায়কারী বা ظالمদের জন্য প্রযোজ্য নয়; অর্থাৎ যারা অন্যায় করে তারা এই বিশেষ নেতৃত্ব ও রহমত লাভ করতে পারবে না।
এই আয়াতের মাধ্যমে আল্লাহ তাআলা ইব্রাহীম আলাইহিস সালামের পরীক্ষা ও তাদের সফলতা বর্ণনা করেছেন। তিনি ইব্রাহীমকে মানবজাতির জন্য পথপ্রদর্শক বানানোর ঘোষণা দেন। কিন্তু এই নেতৃত্ব শুধুমাত্র সৎ এবং ন্যায়পরায়ণ বংশধরদের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকবে, অন্যায়কারী বা ظالمদের জন্য নয়।
আমাদের উচিত আল্লাহর নির্দেশনার পথে চলা এবং ন্যায়পরায়ণ হওয়া, যেন আমরা সেই বংশধরদের অন্তর্ভুক্ত হতে পারি যারা আল্লাহর বিশেষ রহমত ও নেতৃত্ব পায়। অন্যায় থেকে বিরত থাকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
এই আয়াত ইব্রাহীম আলাইহিস সালামের ওপর আল্লাহর বিভিন্ন পরীক্ষার পর নাযিল হয়, যেখানে তিনি তাঁর পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন এবং আল্লাহ তাঁকে মানবজাতির জন্য নেতা বানানোর ঘোষণা দেন।