وَ اتَّقُوۡا یَوۡمًا —
ভয় করো সেই দিনের প্রতি, অর্থাৎ কিয়ামত দিবস বা বিচার দিবস।
لَّا تَجۡزِیۡ نَفۡسٌ عَنۡ نَّفۡسٍ شَیۡئًا —
সেদিন কোনো প্রাণ (আত্মা) অন্য কোনো প্রাণের বদলে বা পক্ষে কিছু দিতে পারবে না।
وَّ لَا یُقۡبَلُ مِنۡهَا عَدۡلٌ —
সেদিন কোনো বিচার বা ক্ষতিপূরণ গ্রহণযোগ্য হবে না।
وَّ لَا تَنۡفَعُهَا شَفَاعَۃٌ —
সেদিন কোনো মানুষের বা ফেরেশতার মাধ্যমে শফাআত (দফা বা মধ্যস্থতা) তার জন্য কার্যকর হবে না।
وَّ لَا هُمۡ یُنۡصَرُوۡنَ —
এবং তারা কোনো সাহায্য বা বিজয় লাভ করতে পারবে না।
এই আয়াত কিয়ামতের দিন মানুষকে সতর্ক করে দেয় যে, সে দিন কোনো ব্যতিক্রম থাকবে না। কোনো প্রাণ অন্যের পক্ষে কিছু দেবে না, কোনো বিচার গ্রহণযোগ্য হবে না, কেউ শফাআত করতে পারবে না, এবং কোনো সাহায্য বা বিজয় পাওয়া যাবে না। সেদিন প্রত্যেকের জন্য তার নিজের কাজের ফলেই বিচার হবে।
আমাদের উচিত সব সময় আল্লাহর দিন (কিয়ামত) সম্পর্কে সচেতন থাকা এবং সেই দিনের জন্য প্রস্তুত থাকা। কারণ সেই দিন কোনো ক্ষমা বা সাহায্য পাওয়া যাবে না; কাজের প্রতিফলন নিজেকেই নিতে হবে।
এই আয়াত মুমিনদেরকে সতর্ক করার জন্য নাযিল হয়েছে, যাতে তারা জানে কিয়ামত দিবসে কাউকে সাহায্য বা দফা করা সম্ভব হবে না, তাই নিজেদের নেক আমল বাড়াতে সচেষ্ট হয়।