সূরা: ২. আল-বাকারা (اَلْبَقَرَةِ)
১১৯ নং আয়াতের তাফসীর

١١٩ - اِنَّاۤ اَرۡسَلۡنٰکَ بِالۡحَقِّ بَشِیۡرًا وَّ نَذِیۡرًا ۙ وَّ لَا تُسۡئَلُ عَنۡ اَصۡحٰبِ الۡجَحِیۡمِ
উচ্চারণ: ইন্না আরসালনাকা বিলহাক্কি বাশিরাও ওয়ানাজীরান, ও লা তুসআলু আনা আশহাবিল জাহিম।
অনুবাদ: নিশ্চয় আমি তোমাকে প্রেরণ করেছি সত্যসহ, সুসংবাদদাতা ও সতর্ককারীরূপে এবং তোমাকে আগুনের অধিবাসীদের সম্পর্কে প্রশ্ন করা হবে না।

তাফসীর

আয়াতের প্রতিটি অংশের তাফসীর

إِنَّا أَرْسَلْنَاكَ بِالْحَقِّ
আমরা নবীকে সঠিক পথের সঙ্গে প্রেরণ করেছি, যা মানুষের জন্য আল্লাহর সত্য ও ন্যায়ের পথ।

بَشِيرًا وَ نَذِيرًا
নবী একই সঙ্গে শুভসংবাদদাতা ও সতর্ককর্তা; যারা আল্লাহর আদেশ মেনে চলবে, তাদের জন্য সুখবর, আর যারা অবজ্ঞা করবে তাদের জন্য সতর্কবার্তা।

وَلَا تُسْئَلُ عَن أَصْحَابِ الْجَحِيمِ
তুমি নবী, জাহান্নামের অধিবাসীদের জন্য কোনো দায়িত্ব গ্রহণ করো না; তাদের বিচার আল্লাহর ওপর ছেড়ে দাও।


আয়াতের ব্যাখ্যা

এই আয়াতে নবীকে নবুওয়াতের দায়িত্ব ও মর্যাদা দেওয়া হয়েছে। তিনি শুধু সত্যের সঙ্গে পেশকার ও সতর্ককর্তা, তার থেকে বেশি দায়িত্ব তাকে দেয়া হয়নি। আল্লাহই বিচার করবেন যারা অবিশ্বাসী ও পাপী।


আয়াতের শিক্ষা

আমাদের উচিত নবীর বাণী শ্রবণ করা এবং আল্লাহর পথে চলা। নবী শুধু পথ দেখান, কিন্তু প্রত্যেকের নিজের কর্মের জন্য আল্লাহর কাছে দায়িত্বরত হতে হবে।


নাযিলের প্রেক্ষাপট (সাবাবুন নুজুল)

মক্কার কাফেরগণ নবী (সা:) কে বাধা দিত, নবীর প্রতি অবিশ্বাস প্রকাশ করত এবং যাদের গন্তব্য জাহান্নাম, তাদের জন্য নবীকে দায়ী করত। এই আয়াত তাদের এই অভিযোগের জবাব।


তাফসীরে: