আয়াতের প্রতিটি অংশের তাফসীর
وَ اَقِیۡمُوا الصَّلٰوۃَ —
সালাত প্রতিষ্ঠা করা মুসলিম জীবনের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ স্তম্ভ। এটি আল্লাহর সাথে সংযোগ স্থাপন এবং জীবনের নিয়মিত নির্দেশনার জন্য আবশ্যক।
وَ اٰتُوا الزَّکٰوۃَ —
যাকাত বা আলমুনা একটি সামাজিক অর্থনৈতিক ব্যবস্থা, যা দরিদ্র ও প্রয়োজনমন্দদের সাহায্য করে। এটি মুসলিম উম্মাহর মধ্যে ন্যায় ও সমতার প্রতীক।
وَ مَا تُقَدِّمُوۡا لِاَنۡفُسِکُم مِّنۡ خَیۡرٍ تَجِدُوۡهُ عِنۡدَ اللّٰهِ —
তোমরা তোমাদের জন্য যে কোনো ধরণের শুভকর্ম আগাম করো, সে তার পুরস্কার আল্লাহর কাছে পাবে। অর্থাৎ, কোনো কাজ বৃথা যায় না।
اِنَّ اللّٰهَ بِمَا تَعۡمَلُوۡنَ بَصِیۡرٌ —
আল্লাহ তোমাদের প্রতিটি কাজ ভালোভাবে দেখে যাচ্ছেন এবং সঠিকভাবে বিচার করবেন।
এই আয়াতে আল্লাহ মুমিনদের সালাত সঠিকভাবে প্রতিষ্ঠা এবং যাকাত দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। সালাত ও যাকাত ইসলামের ভিত্তি, যা ব্যক্তি ও সমাজকে আল্লাহর ইবাদতের মধ্যে রাখে এবং অন্যদের সাথে সহানুভূতি বাড়ায়। এছাড়া, প্রতিটি ভালো কাজের প্রতিদান আল্লাহর নিকট সঞ্চিত হয় এবং তিনি সবকিছু পর্যবেক্ষণ করছেন।
আমাদের উচিত নিয়মিত সালাত আদায় এবং সক্ষমতা অনুযায়ী যাকাত প্রদান করা। আমাদের সকল ভালো কাজ আল্লাহর নিকট গ্রহণযোগ্য এবং তিনি সেগুলোর হিসাব রাখেন। তাই ভালো কাজ করার জন্য সদা সচেষ্ট থাকা প্রয়োজন।
মুমিনদের মাঝে সালাত এবং যাকাতের গুরুত্ব বোঝানোর জন্য এই আয়াত নাযিল হয়েছে, বিশেষত সেই সময় যখন নবী (সা:) মক্কায় দেরিতে সালাত ও যাকাত প্রতিষ্ঠার আহ্বান জানান।