আয়াতের প্রতিটি অংশের তাফসীর
وَدَّ کَثِیۡرٌ مِّنۡ اَهۡلِ الۡکِتٰبِ لَوۡ یَرُدُّوۡنَکُمۡ مِّنۡۢ بَعۡدِ اِیۡمَانِکُمۡ کُفَّارًا —
আহল-ই কিতাবের অনেক লোক তোমাদের ঈমানের পরেও কাফের হিসেবে ফিরিয়ে নিতে চায়। অর্থাৎ তারা তোমাদের থেকে আল্লাহর পথে থেকে ফেরানোর চেষ্টা করে।
حَسَدًا مِّنۡ عِنۡدِ اَنۡفُسِهِمۡ مِّنۡۢ بَعۡدِ مَا تَبَیَّنَ لَهُمُ الۡحَقُّ —
তারা ঈর্ষান্বিত, কারণ সত্য তাদের কাছে পরিস্কার হয়ে গেছে, কিন্তু ঈর্ষার কারণে তারা সত্যকে মেনে নিতে চায় না।
فَاعۡفُوۡا وَ اصۡفَحُوۡا حَتّٰی یَاۡتِیَ اللّٰهُ بِاَمۡرِهٖ —
অতএব, তুমি তাদের বিরুদ্ধে ক্ষমাশীল হও এবং ছেড়ে দাও যতক্ষণ না আল্লাহ তাঁর সিদ্ধান্ত দেন।
اِنَّ اللّٰهَ عَلٰی کُلِّ شَیۡءٍ قَدِیۡرٌ —
নিশ্চয়ই আল্লাহ সমস্ত কিছুর উপর ক্ষমতাশালী।
এই আয়াতে বলা হয়েছে, ঈমান গ্রহণের পরও কিছুমাত্রা মানুষ তাদের ঈমান থেকে ফিরিয়ে নিয়ে যেতে চায়। এদের উদ্দেশ্য ঈর্ষা ও হিংসার কারণে মুমিনদের বিপথগামী করা। আল্লাহ তা-ওয়া তারা তেমন করতে না পারে। তাই মুমিনদের উচিত তাদেরকে ক্ষমা করে দেয়া এবং আল্লাহর বিচার অপেক্ষা করা।
আমাদের উচিত হিংসুক ও ঈর্ষান্বিত ব্যক্তিদের কারণে ক্রোধ বা প্রতিশোধ নেওয়া না, বরং ধৈর্য্য ও ক্ষমাশীল হওয়া। আল্লাহর সিদ্ধান্ত আসবে ঠিক সময়েই, তখনই সঠিক বিচার হবে।
মদীনার কিছু আহল-ই কিতাব মুসলমানদের প্রতি বিদ্বেষ পোষণ করতো এবং তাদেরকে আবার কাফেরিতে ফিরিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করতো। এই আয়াত তাদের আচরণের প্রতি সতর্কবার্তা হিসেবে নাযিল হয়েছে।