আয়াতের প্রতিটি অংশের তাফসীর
اَمۡ تُرِیۡدُوۡنَ اَنۡ تَسۡـَٔلُوۡا رَسُوۡلَکُمۡ کَمَا سُئِلَ مُوۡسٰی مِنۡ قَبۡلُ —
এ আয়াতে বলা হয়েছে, তুমি কি চাও তোমরা তোমাদের রসূলের কাছ থেকে সেই রকম প্রশ্ন করো, যেমন মূসা (আঃ) এর কাছে আগের যুগে করা হতো? এখানে ইঙ্গিত আছে অতীতের বেলায় বেসামরিক ও ধর্মীয় ব্যাপারে অতিরিক্ত ও পুনরাবৃত্তিমূলক প্রশ্ন করার একটি ঘটনা।
وَمَنۡ یَّتَبَدَّلِ الۡکُفۡرَ بِالۡاِیۡمَانِ فَقَدۡ ضَلَّ سَوَآءَ السَّبِیۡلِ —
যে ব্যক্তি বিশ্বাস থেকে কাফেরিতে পতিত হয়, সে সরল পথ থেকে পুরোপুরি বিভ্রান্ত ও দূরে সরে যায়। অর্থাৎ, ঈমান থেকে বিরত হয়ে কাফেরি গ্রহণ করা সবচেয়ে বড় বিপদ।
এই আয়াতের মাধ্যমে মুমিনদের সতর্ক করা হয়েছে যেন তারা অতিরিক্ত ও অপ্রয়োজনীয় প্রশ্নাবলী দিয়ে নবী (সাঃ) কে বিরক্ত না করে। অতীতের উম্মত যারা নবীদের কঠিন প্রশ্ন করত, তাদের মতো হবার প্রয়োজন নেই। পাশাপাশি ঈমান থেকে কাফেরি হওয়ার বিপদ স্পষ্ট করা হয়েছে, যা মানুষের জন্য এক ভয়ংকর বিভ্রান্তি।
আমাদের উচিত নবী (সাঃ) ও আল্লাহর প্রতি বিশ্বাস ও সম্মান রাখা এবং যেসব প্রশ্নের কোনো প্রয়োজন নেই তা এড়িয়ে চলা। এছাড়া, ঈমানের মূল্য বুঝে তাকে কখনো কাফেরির সঙ্গে বদলানো উচিত নয়।
মদীনা বা মক্কায় কিছু মানুষ নবী (সাঃ) কে অতিরিক্ত ও দ্বিধাদ্বন্দ্বপূর্ণ প্রশ্ন করতো, যা নবীর কাজকে কঠিন করে তুলতো। এই আয়াত তাদের উদ্দেশ্যে নাযিল হয় যাতে তারা বুঝতে পারে নবী (সাঃ) এর প্রতি শ্রদ্ধাশীল হতে হবে এবং ঈমানের প্রতি সতর্ক থাকতে হবে।