সূরা: ২. আল-বাকারা (اَلْبَقَرَةِ)
১০৭ নং আয়াতের তাফসীর

١٠٧ - اَلَمۡ تَعۡلَمۡ اَنَّ اللّٰهَ لَهٗ مُلۡکُ السَّمٰوٰتِ وَ الۡاَرۡضِ ؕ وَ مَا لَکُمۡ مِّنۡ دُوۡنِ اللّٰهِ مِنۡ وَّلِیٍّ وَّ لَا نَصِیۡرٍ
উচ্চারণ: আলাম তআলাম্ আন্নাল্লাহা লাহু মুলকুস সামাওয়াতি ওয়াল আর্দ। ওয়া মা লাকুম মিন দুনিল্লাহি মিন ওয়ালিয়ান ওয়া লা নাসির।
অনুবাদ: তুমি কি জান না যে, নিশ্চয় আসমানসমূহ ও যমীনের রাজত্ব আল্লাহর? আর আল্লাহ ছাড়া তোমাদের কোন অভিভাবক ও সাহায্যকারী নেই।

তাফসীর

আয়াতের প্রতিটি অংশের তাফসীর

اَلَمۡ تَعۡلَمۡ اَنَّ اللّٰهَ لَهٗ مُلۡکُ السَّمٰوٰتِ وَ الۡاَرۡضِ
আল্লাহরই পুরো বিশ্বব্রহ্মাণ্ডের মালিকানা, অর্থাৎ স্বর্গ-নারক ও পৃথিবী-সমস্ত সৃষ্টি তাঁর নিয়ন্ত্রণে।

وَمَا لَکُمۡ مِّنۡ دُوۡنِ اللّٰهِ مِنۡ وَّلِیٍّ وَّ لَا نَصِیۡرٍ
মানুষের আল্লাহ ছাড়া কোনো প্রকৃত অভিভাবক, রক্ষাকর্তা বা সহায়ক নেই। এ কথা বিশ্বাস করাই ঈমানের একটি মূল স্তম্ভ।


আয়াতের ব্যাখ্যা

এই আয়াতে আল্লাহর একক সত্তা এবং তাঁর সর্বশক্তিমত্তার বিষয়টি তুলে ধরা হয়েছে। তিনি স্বর্গ ও পৃথিবীর একমাত্র মালিক এবং মানুষের একমাত্র রক্ষাকর্তা। মানুষের উচিত শুধু আল্লাহর প্রতি ভরসা রাখা এবং তাঁর শরণাপন্ন হওয়া।


আয়াতের শিক্ষা

আমাদের উচিত আল্লাহ ছাড়া অন্য কাউকে রক্ষাকর্তা বা পৃষ্ঠপোষক মনে না করা এবং সর্বদা তাঁর সাহায্য ও অনুগ্রহ কামনা করা। জীবনের সকল সমস্যায় আল্লাহর সাহায্য প্রার্থনা করা একমাত্র সঠিক পথ।


নাযিলের প্রেক্ষাপট (সাবাবুন নুজুল)

এই আয়াতটি মক্কাবাসীদের মধ্যে আল্লাহর একত্ব এবং তাঁর ক্ষমতা সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি করার জন্য নাযিল হয়, যেখানে তারা অন্য দেবতাদের পৃষ্ঠপোষক হিসাবে বিশ্বাস করতো।


তাফসীরে: