আয়াতের প্রতিটি অংশের তাফসীর
مَا یَوَدُّ الَّذِیۡنَ کَفَرُوۡا مِنۡ اَهۡلِ الۡکِتٰبِ وَ لَا الۡمُشۡرِکِیۡنَ —
যে কাফিরগণ কিতাবপ্রাপ্ত এবং মুশরিকরা, তারা চান না যে মুসলিমদের জন্য আল্লাহ তাদের প্রতি দয়া ও বরকত নাযিল করুন। তারা ঈমান গ্রহণ এবং উন্নতির পথে বাধা সৃষ্টি করে।
أَنۡ یُّنَزَّلَ عَلَیۡکُم مِّنۡ خَیۡرٍ مِّنۡ رَّبِّکُمۡ —
এখানে ‘খাইর’ অর্থ হলো যে আল্লাহ থেকে যে কল্যাণময় বরকত এবং দয়া মুসলিমদের প্রতি নাযিল হয়, তা তাদের ভালো লাগে না। তারা তা অবরুদ্ধ করতে চায়।
وَ اللّٰهُ یَخۡتَصُّ بِرَحۡمَتِهٖ مَن یَّشَآءُ —
আল্লাহ তাঁর রহমতকে নির্দিষ্ট ও নির্বাচিত করেন যাদের প্রতি তিনি চান। এটা তাঁর ইচ্ছার অধীন এবং তাঁর এক বিশেষ ক্ষমতা।
وَ اللّٰهُ ذُو الۡفَضۡلِ الۡعَظِیۡمِ —
আল্লাহ মহান অনুগ্রহ এবং মহৎ প্রতিদানকারী। তিনি যাদের প্রতি চান সাহায্য ও দয়া বর্ষণ করেন।
এই আয়াতে বলা হয়েছে যে, কাফিরগণ ও মুশরিকগণ মুসলিমদের জন্য আল্লাহর পক্ষ থেকে কল্যাণ ও রহমত নাযিল হতে চায় না। তারা তাদের বিরোধিতা ও বিরূপ মনোভাব রাখে। অথচ আল্লাহ তাঁর রহমত যাকে ইচ্ছা করেন তার ওপর বর্ষণ করেন। আল্লাহর দয়ালু এবং উদারতা অপরিসীম।
আমাদের মনে রাখতে হবে, যারা ঈমান আনেনি বা বাধা দেয় তারা ঈমানীদের উন্নতি ও কল্যাণ দেখতে চান না। কিন্তু আল্লাহ তাঁর করুণা ও দয়া তাঁর বান্দাদের প্রতি অবিরত বর্ষণ করেন। তাই আমাদের ধৈর্য ও বিশ্বাস স্থির রাখা দরকার।
এই আয়াতটি মুহাম্মদ (সা.) ও মুসলিম উম্মাহর বিরুদ্ধে কিতাবপ্রাপ্ত এবং মুশরিকদের বিরোধিতার প্রেক্ষিতে নাযিল হয়েছে। তারা নবী ও তাঁর অনুসারীদের উন্নতি ও কল্যাণে বাধা প্রদান করত, কিন্তু আল্লাহর দয়া ও সাহায্য সর্বদা মুসলিমদের সঙ্গে ছিল।