قُلۡ مَنۡ کَانَ عَدُوًّا لِّجِبۡرِیۡلَ
বলুন, যে জিব্রাইলের শত্রু।
অর্থাৎ, যারা ফেরেশতা জিব্রাইল (আ.) কে শত্রু মনে করে, তার প্রতি শত্রুত্ব প্রকাশ করে, তাদের বিরুদ্ধে আল্লাহর সপথ ও কঠোর সতর্কবার্তা।
فَاِنَّهٗ نَزَّلَهٗ عَلٰی قَلۡبِکَ بِاِذۡنِ اللّٰهِ
নিশ্চয়ই তিনি তাকে তোমার হৃদয়ে অবতীর্ণ করেছেন আল্লাহর ইচ্ছায়।
আল্লাহতায়ালা পবিত্র ফেরেশতা জিব্রাইলকে অবতীর্ণ করেন নবী (সা.) এর হৃদয়ে, যা মহান রহমত ও দিশার চিহ্ন।
مُصَدِّقًا لِّمَا بَیۡنَ یَدَیۡهِ
যা পূর্ববর্তী গ্রন্থসমূহের সত্যতা স্বরূপ।
কুরআন পূর্ববর্তী আহকাম, বাণী ও ওহীসমূহের সত্যতা ও পূর্ণতা প্রদান করে।
وَ هُدًی وَّ بُشۡرٰی لِلۡمُؤۡمِنِیۡنَ
এবং মুমিনদের জন্য পথপ্রদর্শক ও সুখবর।
কুরআন মুমিনদের জন্য হেদায়েত, নেক কাজের উৎসাহ এবং জান্নাতের সুসংবাদ বহন করে।
এই আয়াতটি আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালার পক্ষ থেকে নবী (সা.) কে নির্দেশ দেয়, যাদের জিব্রাইল (আ.) কে শত্রু মনে করে তারা ঈমান আনতে অপারগ বা অনিচ্ছুক। আল্লাহ বলেন, জিব্রাইল নবী (সা.) এর হৃদয়ে আল্লাহর অনুমতিতে কুরআন অবতীর্ণ করেছেন, যা পূর্ববর্তী গ্রন্থসমূহের সত্যতা প্রতিষ্ঠা করে এবং মুমিনদের জন্য এক পথপ্রদর্শক ও আনন্দের সংবাদ।
ফেরেশতা ও ওয়হীগ্রহণের সত্যতা ঈমানের অঙ্গ।
কুরআন পূর্ববর্তী নবীদের বাণীর সত্যতা ও পূর্ণতা।
ঈমানদারদের জন্য কুরআন হল পথপ্রদর্শক ও সুখবর।
শত্রুত্ব করলে আল্লাহর পথে বাধা সৃষ্টি হয়, যা বিপদজনক।
মক্কায় যখন নবী (সা.) প্রচার শুরু করেন, তখন কিছু কাফের ও মুনাফিক জিব্রাইল (আ.) কে বিরোধিতা ও অবজ্ঞা করত। এই আয়াতের মাধ্যমে তাদেরকে সতর্ক করা হয়েছে যে, জিব্রাইল আল্লাহর পক্ষ থেকে কুরআন অবতীর্ণ করেন এবং নবী (সা.) এর প্রতি আনুগত্য জরুরি।