আয়াতের প্রতিটি অংশের তাফসীর
• اُولٰٓئِکَ الَّذِیۡنَ اشۡتَرَوُا الۡحَیٰوۃَ الدُّنۡیَا بِالۡاٰخِرَۃِ
“তারা সেই ব্যক্তিরা যারা জীবদ্দুনিয়াকে কিনেছে পরকালের বিনিময়ে” — অর্থাৎ যারা মিথ্যা জীবনের ক্ষণস্থায়ী জিনিসের জন্য চিরস্থায়ী পরকালের সুখ ও মুক্তিকে ত্যাগ করেছে।
• فَلَا یُخَفَّفُ عَنۡهُمُ الۡعَذَابُ
“তাদের উপর শাস্তি হ্রাস করা হবে না” — অর্থাৎ তাদের দুনিয়াতে যে ভুল পথ গ্রহণ করেছে তার জন্য পরকালে কঠোর শাস্তি তাদের জন্য অপেক্ষা করছে।
• وَلَا هُمۡ یُنۡصَرُوۡنَ
“এবং তারা কোনো সাহায্য বা রক্ষা পাবে না” — তাদের জন্য কোনো দুনিয়া বা পরকালের সাহায্য নেই।
এই আয়াত জীবদ্দুনিয়া ও পরকালের মধ্যে আল্লাহর নির্দেশনা ও সঠিক মূল্যবোধকে অগ্রাহ্য করে যারা শুধু অস্থায়ী দুনিয়ার ব্যাপারে মনোনিবেশ করেছে তাদের কঠোর দন্ডের কথা স্মরণ করিয়ে দেয়। যারা নিজের আত্মার চিরস্থায়ী মুক্তির পরিবর্তে অস্থায়ী দুনিয়ার সুখ-সুবিধার জন্য বিক্রি করেছে, তারা পরকালে কোন ছাড় পাবেনা এবং শাস্তির অধীন হবেন।
জীবনের মূল লক্ষ্য পরকালের স্থায়ী আনন্দ ও মুক্তি লাভ করা।
ক্ষণস্থায়ী দুনিয়াকে কখনো চিরস্থায়ী পরকালের উপরে অগ্রাধিকার দেয়া ঠিক নয়।
আল্লাহর আইন থেকে বেঁচে যাওয়া সম্ভব নয়।
প্রত্যেক কর্মের জন্য নিখুঁত বিচার হবে।
আয়াতটি মূলত তাদের জন্য নাযিল হয়েছিল যারা জীবনের ক্ষণস্থায়ী আরাম-সুখের জন্য ঈমান ও নেক আমল পরিত্যাগ করেছিল, বিশেষ করে মুনাফিক ও কাফেরদের সম্পর্কে।