 
                            الٓـمّٓ এই শব্দটি মুকাত্তাআত হরফ (অর্থহীন অক্ষর) হিসেবে পরিচিত।
এগুলি কুরআনের কিছু সূরার শুরুতে আসা কিছু অক্ষর যা আল্লাহ ছাড়া অন্য কেউ জানে না এর আসল অর্থ।
এগুলো মূলত আল্লাহর শক্তি, গোপন জ্ঞান এবং কুরআনের বিশেষত্বকে বোঝানোর জন্য ব্যবহৃত হয়।
এই অক্ষরের মাধ্যমে মুসলিমদের বিশ্বাস স্থাপিত হয় যে, কুরআন আল্লাহর পক্ষ থেকে পাঠানো এবং এর সমস্ত দিক আল্লাহর ইচ্ছার অধীনে।
এর কোনো নির্দিষ্ট অর্থ বা ব্যাখ্যা নেই যা মানুষ পুরোপুরি বুঝতে পারে। এটি কেবল আল্লাহর রহস্য ও এটা আল্লাহর কর্তৃত্বের পরিচায়ক হিসেবে রাখা হয়েছে।
এই ধরনের অক্ষরগুলি কুরআনের গুপ্ত জ্ঞানের দিক প্রকাশ করে এবং মানুষকে বিশ্বের গভীরতর জ্ঞান ও অর্থের দিকে লক্ষ্য রাখতে উৎসাহিত করে।
এই আয়াতের মধ্যে ব্যবহৃত الٓـمّٓ একটি মুকাত্তাআত অক্ষর যার নির্দিষ্ট কোনো অর্থ নেই, কিন্তু এটি কুরআনের বিশেষত্বের পরিচায়ক। এই ধরনের অক্ষর কুরআনের সূরার প্রথম অংশে বিভিন্ন জায়গায় আসে, যা আল্লাহর রহস্যময়তা এবং ইসলামের পবিত্রতা স্পষ্টভাবে প্রদর্শন করে।
এটি মুসলিমদের আল্লাহর ওপর পূর্ণ বিশ্বাস ও নির্ভরশীলতা এবং কুরআনের প্রতি বিশ্বাস তৈরির উদ্দেশ্যে ব্যবহৃত হয়।
● বিশ্বাসের গভীরতা: এই অক্ষরগুলি কুরআনের প্রথম অংশে থাকে এবং মুসলিমদের বিশ্বাসের গভীরতা তুলে ধরে।
● আল্লাহর জ্ঞানে পূর্ণ আস্থা: এর মাধ্যমে মুসলিমদের শিক্ষা দেওয়া হচ্ছে যে, আল্লাহর রহস্য ও জ্ঞানের কিছু অংশ কেবল তাঁর পক্ষ থেকেই জানা যায়, আমাদের পক্ষ থেকে তা জানা সম্ভব নয়।
● আল্লাহর প্রতি নির্ভরতা: এ ধরনের অক্ষরের মাধ্যমে আল্লাহর ওপর বিশ্বাস এবং তার ইচ্ছার প্রতি সমর্পণ শিখানো হয়।
এই ধরনের অক্ষরগুলি (মুকাত্তাআত) কুরআনের সূরা আল-বাক্বারা এর মধ্যে অলৌকিক উপাদান হিসেবে এসছে।
এগুলির মাধ্যমে আল্লাহের একান্ত জ্ঞানের প্রতি মানুষের সীমাবদ্ধতা বোঝানো হয় এবং মানুষের প্রতিক্রিয়াও এই অক্ষরগুলোর প্রতি বিশ্বস্ততা ও বিশ্বাস স্থাপন।
যেহেতু এদের নির্দিষ্ট অর্থ মানুষের পক্ষে বোঝা সম্ভব নয়, এগুলি আল্লাহর রহস্যের প্রতীক এবং মুসলিমদেরকে পূর্ণ বিশ্বাসে রাখা এবং কুরআনের প্রতি বিশ্বস্ত হতে শিক্ষা দেয়।