আয়াতের প্রতিটি অংশের তাফসীর
اِنَّ الَّذِیۡنَ اٰمَنُوۡا
নিশ্চয় যারা ঈমান এনেছে — মানে তারা অন্তর দিয়ে আল্লাহ, রাসূল ও কিয়ামতের প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করেছে।
وَ الَّذِیۡنَ هَاجَرُوۡا
এবং যারা হিজরত করেছে — যারা দ্বীনের জন্য ঘর-বাড়ি, স্বজন, ব্যবসা-বাণিজ্য ত্যাগ করে ইসলাম রক্ষায় স্থানান্তরিত হয়েছে।
وَ جٰهَدُوۡا فِیۡ سَبِیۡلِ اللّٰهِ
এবং যারা আল্লাহর রাস্তায় সংগ্রাম করেছে — যারা দ্বীনের প্রচার, প্রতিরক্ষা, ও উন্নয়নের জন্য নিজের সময়, সম্পদ, জীবন উৎসর্গ করেছে।
اُولٰٓئِکَ یَرۡجُوۡنَ رَحۡمَتَ اللّٰهِ
তারাই আল্লাহর রহমতের আশা রাখতে পারে — এই শ্রেণির মানুষেরাই প্রকৃতভাবে জান্নাত ও আল্লাহর করুণা পাওয়ার উপযুক্ত।
وَ اللّٰهُ غَفُوۡرٌ رَّحِیۡمٌ
আর আল্লাহ ক্ষমাশীল, দয়ালু — তিনি বান্দার ত্যাগ, কষ্ট ও আত্মোৎসর্গের প্রতিদান দেন, তাদের গুনাহ ক্ষমা করেন।
এই আয়াতটি ইসলাম গ্রহণকারী, কষ্টভোগকারী এবং সংগ্রামকারী মুসলিমদের জন্য এক গভীর সান্ত্বনা ও আশার বার্তা। যারা শুধু মুখে নয়, বাস্তব জীবনে ঈমান, হিজরত ও জিহাদের মাধ্যমে আল্লাহর পথে ত্যাগ স্বীকার করে — তাদের জন্যই রয়েছে আল্লাহর অশেষ রহমত ও জান্নাতের প্রতিশ্রুতি। এটি একপ্রকার ‘অভিনন্দন’ তাদের জন্য, যারা ইসলামকে জীবনের মূলধারা বানিয়েছে।
প্রকৃত ঈমান কেবল অন্তরের ব্যাপার নয়, তা কাজে প্রমাণ করতে হয়।
দ্বীনের জন্য কষ্ট ও ত্যাগ অপরিহার্য।
হিজরত ও জিহাদ ইসলামে মহান মর্যাদাসম্পন্ন আমল।
আল্লাহর রহমত পাওয়ার জন্য সংগ্রাম ও আত্মত্যাগ অপরিহার্য।
আল্লাহ ক্ষমাশীল, তাই তার কাছে আশা রাখা উচিত।
এই আয়াত মক্কা থেকে হিজরতকারী সাহাবিদের সম্পর্কে নাজিল হয়, যারা ঈমান গ্রহণ করে মদিনায় চলে আসেন এবং পরে ইসলামের জন্য যুদ্ধ করেন। এতে তাদের অবস্থান সুস্পষ্ট করা হয় যে তারা আল্লাহর রহমতের প্রকৃত অধিকারী।