সূরা: ২. আল-বাকারা (اَلْبَقَرَةِ)
১৬৩ নং আয়াতের তাফসীর

١٦٣ - وَ اِلٰـهُکُمۡ اِلٰهٌ وَّاحِدٌ ۚ لَاۤ اِلٰهَ اِلَّا هُوَ الرَّحۡمٰنُ الرَّحِیۡمُ
উচ্চারণ: ওয়া ইলাহুকুম ইলাহু ওয়াহিদু লা ইলাহা ইল্লা হুয়াল রহমানুর রহিম।
অনুবাদ: আর তোমাদের ইলাহ এক ইলাহ। তিনি ছাড়া কোন (সত্য) ইলাহ নেই। তিনি অতি দয়াময়, পরম দয়ালু।

তাফসীর

আয়াতের প্রতিটি অংশের তাফসীর

وَ إِلٰهُكُمْ إِلٰهٌ وَاحِدٌ
তোমাদের একমাত্র ইলাহ (সৃষ্টিকর্তা) একমাত্র, একক, এবং একাই পূজ্য। এই বাক্যটি আল্লাহর একত্বের দৃষ্টান্ত ও গৌরব তুলে ধরে।

لَا إِلٰهَ إِلَّا هُوَ
তিনি ছাড়া আর কোনো ইলাহ নেই, অর্থাৎ তিনি একমাত্র পূজার দাবি রাখেন এবং তাঁর সৃষ্টিকর্তা ছাড়া অন্য কোনো অবতার বা দেবতা নেই।

الرَّحْمٰنُ الرَّحِيمُ
তিনি সর্বজনীন দয়াময় ও পরম করুণাময়। এই দুই গুণ তাঁর ক্ষমা ও মেহেরবানের নিদর্শন।


আয়াতের ব্যাখ্যা

এই আয়াতে আল্লাহর একত্বের ঘোষণা ও প্রমাণ দেওয়া হয়েছে। আল্লাহ্‌ই একমাত্র সৃষ্টিকর্তা এবং ঈশ্বর যাকে সবাই ইবাদত করে। তাঁর মধ্যে রয়েছে পরম করুণা ও দয়া যা সমস্ত সৃষ্টির প্রতি বিস্তৃত। এই আয়াত মোনোথেইজমের মূল স্তম্ভ এবং ইসলামের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বিশ্বাস।


আয়াতের শিক্ষা

  • আল্লাহ এক, তাঁর সঙ্গেই শুধুমাত্র ইবাদত করা উচিত।

  • আল্লাহর মতো কেউ দয়ালু ও করুণাময় নয়।

  • ঈমানের মূল ভিত্তি হলো আল্লাহর একত্ব ও তাঁর গুণাবলী স্বীকার করা।

  • অন্য কোনো ইলাহ বা সৃষ্টিকে পূজা করা যাবে না।


নাযিলের প্রেক্ষাপট (সাবাবুন নুজুল)

এই আয়াত মক্কার কুফরদর্শী লোকদের জন্য জবাব হিসেবে নাযিল হয়েছিল, যারা বহু দেবতা আর প্রতিমার পূজা করত। আল্লাহ তাদেরকে জানাতে চেয়েছিলেন যে তিনি একমাত্র সত্য ইলাহ, এবং তাঁর একত্ব প্রতিষ্ঠিত।


তাফসীরে: