আয়াতের প্রতিটি অংশের তাফসীর
وَ لَوۡ اَنَّهُمۡ اٰمَنُوۡا وَ اتَّقَوۡا —
অর্থাৎ, যদি তারা সত্যিকার অর্থে ঈমান আনে এবং আল্লাহর ভয় ও পরহেজগারিতা অনুসরণ করত, যা তাকওয়া নামে পরিচিত, তবে...
لَمَثُوۡبَۃٌ مِّنۡ عِنۡدِ اللّٰهِ خَیۡرٌ —
তাহলে আল্লাহর কাছ থেকে তাদের জন্য অবশ্যম্ভাবী উত্তম সওয়াব ও পুরস্কার ছিল। অর্থাৎ, তাদের সাফল্য এবং শান্তি আল্লাহর হাতে নির্ভরশীল ছিল এবং সে পুরস্কার সবচেয়ে শ্রেষ্ঠ।
لَوۡ کَانُوۡا یَعۡلَمُوۡنَ —
এটি নির্দেশ করে, যারা এই সত্য জানত বা উপলব্ধি করত, তারা অবশ্যই ঈমান ও তাকওয়া অর্জনে আরও যত্নবান হতো।
এই আয়াতে আল্লাহ তাআলা নির্দেশ করেছেন, যারা আল্লাহকে বিশ্বাস করে এবং তাঁর নির্দেশনাগুলো যথাযথভাবে পালন করে পরহেজগার হয়, তাদের জন্য ঈমানদার জীবনের উত্তম ফলাফল ও পুরস্কার আল্লাহর কাছ থেকে প্রদান করা হয়। এটা স্পষ্ট যে ঈমান ও তাকওয়া জীবনের সফলতার মূল চাবিকাঠি। যারা এ বিষয়টি বুঝতে পারত, তারা অবশ্যই আল্লাহর প্রতি তাদের বিশ্বাস ও ভয়ের গভীরতা বাড়াত।
এই আয়াত আমাদের শিক্ষা দেয় যে কেবল আল্লাহর ওপর বিশ্বাস করলেই নয়, তার সাথে পরিপূর্ণ সতর্কতা ও ভয়ের মধ্যে জীবন পরিচালনা করতে হবে। ঈমান এবং তাকওয়ার সংমিশ্রণ ছাড়া কোনো ব্যক্তি আল্লাহর অনুগ্রহ অর্জন করতে পারে না। তাই আমাদের প্রতিনিয়ত নিজেদের আত্মা পরিশোধন করতে হবে এবং আল্লাহর নির্দেশ পালনে সচেষ্ট হতে হবে।
এই আয়াতটি সেই সময় নাযিল হয়েছিল যখন কিছু মানুষ ঈমান আনার কথা ভাবছিল কিন্তু শয়তানের ফিতনা ও সামাজিক প্রতিবন্ধকতার কারণে পূর্ণ বিশ্বাস স্থাপন করতে পারছিল না। আল্লাহ তাদেরকে সতর্ক করতে এই আয়াত অবতীর্ণ করেছেন, যাতে তারা বুঝতে পারে সঠিক ঈমান ও তাকওয়া অর্জনের মাধ্যমে তাদের জন্য সেরা প্রতিদান প্রস্তুত আছে।