● لَا يَرْقُبُونَ فِي مُؤْمِنٍ
– তারা কোনো মুমিনের প্রতি কোনো আবেগ বা প্রতিশ্রুতি রাখে না: এখানে "রুকুব" অর্থ সম্মান, আবেগ বা কোন ধরনের মনোবৃত্তি। এর মানে হলো, তারা মুমিনদের প্রতি কোনো ভালোবাসা বা সম্মান প্রদর্শন করে না এবং কোনো চুক্তি বা প্রতিশ্রুতি পূর্ণ করার প্রতি তাদের কোনো মনোযোগ নেই।
● إِلًّا وَلَا ذِمَّةً
– এবং তারা প্রতিশ্রুতি বা চুক্তির ব্যাপারে কোনো গুরুত্ব দেয় না: "ইল্লান" মানে বিশেষ কিছু (বিশেষত ভালোবাসা বা সদাচার), এবং "ধিম্মাতান" মানে চুক্তি বা প্রতিশ্রুতি। এখানে বলা হয়েছে যে, তারা কোনো ধরনের চুক্তি বা প্রতিশ্রুতি রাখতে রাজি নয় এবং তাদের জন্য ঈমানি সম্পর্ক কোনো গুরুত্ব রাখে না।
● وَ أُوۡلَـٰٓئِكَ هُمُ الْمُعْتَدُونَ
– তারা আসলে সীমালংঘনকারীরা: তারা আল্লাহর বিধি লঙ্ঘন করে এবং মানুষের প্রতি তাদের দায়িত্ব পালন না করে, যা তাদের অত্যন্ত অবাধ্য এবং সীমালংঘনকারী করে তোলে।
এই আয়াতে আল্লাহ তায়ালা মুনাফিকদের এবং তাদের মত অন্য কিছু মানুষের খারাপ গুণাবলী উল্লেখ করেছেন। তারা মুসলমানদের প্রতি কোনো ধরনের আবেগ, প্রতিশ্রুতি বা চুক্তি পালন করার গুরুত্ব দেয় না। তারা শুধু নিজের স্বার্থের চিন্তা করে, এবং অন্যদের সঙ্গে চুক্তি বা সম্পর্ক রাখতে আগ্রহী নয়। তারা বরং তাদের নিজের স্বার্থের জন্য মিথ্যা কথা বলে, এবং সত্যকে চাপা দেয়। এমন লোকদের বিরুদ্ধে আল্লাহ তাদেরকে "সীমালংঘনকারী" হিসেবে চিহ্নিত করেছেন।
মুমিনদের মধ্যে সত্যতা, সম্পর্কের সততা এবং চুক্তি পূরণ করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
মুসলমানদের মধ্যে কোনো ধরনের বিশ্বাসঘাতকতা বা প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করা উচিত নয়।
যারা মানুষের প্রতি কোনো ধরনের সম্পর্ক বা প্রতিশ্রুতি রাখে না, তারা আল্লাহর দৃষ্টিতে সীমালংঘনকারী।
মুমিনদের মধ্যে সম্পর্ক এবং চুক্তির প্রতি সম্মান থাকা উচিত, এবং এতে কোনো ধরনের শৈথিল্য বা অবহেলা থাকা উচিত নয়।
এই আয়াত মুনাফিকদের সম্পর্কে নাযিল হয়েছে, যারা নিজেদের স্বার্থের জন্য মুসলিমদের প্রতি কোনো ধরনের সত্যতা বা সম্মান প্রদর্শন করত না। তারা নিজেদের লাভের জন্য মুসলিমদের প্রতিশ্রুতি ও সম্পর্ক নষ্ট করত, এবং তাদের কোনো মূল্য ছিল না। তাদের এই আচরণ সম্পর্কে সতর্ক করে এই আয়াত নাযিল হয়েছিল।