আয়াতের প্রতিটি অংশের তাফসীর
اَلَّذِیۡنَ اٰتَیۡنٰهُمُ الۡکِتٰبَ یَعۡرِفُوۡنَهٗ کَمَا یَعۡرِفُوۡنَ اَبۡنَآءَهُمۡ —
যারা আল্লাহ তাদেরকে পবিত্র কিতাব (পবিত্র গ্রন্থ) প্রদান করেছেন, তারা সেই কিতাবকে ভালোভাবে চিনে, ঠিক যেমন তারা নিজেদের সন্তানদের চিনে। অর্থাৎ কিতাব সম্পর্কে তাদের গভীর জ্ঞান ও পরিচয় রয়েছে।
وَ اِنَّ فَرِیۡقًا مِّنۡهُمۡ لَیَکۡتُمُوۡنَ الۡحَقَّ وَ هُمۡ یَعۡلَمُوۡنَ —
তাদের মধ্যেও এমন একটি দল আছে যারা সত্য (আল-কোরআনের নির্দেশনা ও ধর্মীয় সত্য) লুকিয়ে রাখে, অথচ তারা সম্পূর্ণ সচেতন ও জানে যে তারা সত্যটি লুকিয়ে রাখছে।
এই আয়াত কিতাবপ্রাপ্ত সম্প্রদায়ের বিভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গি এবং আচরণ তুলে ধরেছে। যারা কিতাব পায়, তাদের মধ্যে কিছু ব্যক্তি সত্যকে জানে এবং তার যথাযথ মর্যাদা দেয়, কিন্তু অন্যরা জ্ঞান থাকা সত্ত্বেও সত্য লুকিয়ে রাখে বা বিকৃত করে। এটি ইসলামের ইতিহাসে কিতাবপ্রাপ্ত সম্প্রদায়ের কিছু গোষ্ঠীর ধর্মীয় রীতিনীতির অনিয়ম ও দ্বিচারিতার নির্দেশ দেয়। এই আয়াত মুসলমানদের সতর্ক করে যে, সত্যের প্রতি সৎ থাকা জরুরি এবং ধর্মীয় শিক্ষা লুকিয়ে রাখার কাজ নিন্দনীয়।
পবিত্র কিতাবের প্রতি জ্ঞান ও সতর্কতা থাকা প্রয়োজন।
সত্য লুকানো বা বিকৃত করা গুরুতর অপরাধ।
ধর্মীয় দায়িত্ব পালন এবং সত্যের সাথে সৎ থাকার গুরুত্ব।
যারা সত্য লুকায় তারা আল্লাহর বিচারের মুখোমুখি হবে।
মদিনায় এবং মক্কায় কিছু কিতাবপ্রাপ্ত লোক আল্লাহর ঘোষিত সত্য জানতেও মিথ্যা বাগদান করত এবং তাদের ধর্মীয় দায়িত্ব পালন করত না। এই আয়াত তাদের সেই আচরণ ও দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে নাজিল হয়েছে, যা ইসলামী উম্মতকে সতর্ক করার জন্য।