সকাল ও সন্ধ্যার আমল
সকাল ও সন্ধ্যা হলো দিনের বিশেষ সময়। এই সময়গুলোতে আমল করা:
- আল্লাহর নিরাপত্তা অর্জনের মাধ্যম
- শয়তানের কুমন্ত্রণা থেকে বাঁচার উপায়
- রিজিক ও বরকতের দুয়ার খুলে দেয়
- মনের প্রশান্তি ও আত্মার শান্তি এনে দেয়
সকালের আমল
- আয়াতুল কুরসি পড়া
সূরা বাকারা, আয়াত ২৫৫ - তিন কুল পড়া
-
সূরা ইখলাস, সূরা ফালাক, সূরা নাস — তিনবার করে।
- সূরা আল-ফাতিহা ও সূরা ইখলাস পড়া
- "লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াহদাহু লা শারীকালাহু..." ১০০ বার
- "আসবাহনা ওয়া আসবাহাল মুলকু লিল্লাহ..." দোয়া পাঠ
- ইস্তিগফার করা
আস্তাগফিরুল্লাহ, আস্তাগফিরুল্লাহ, আস্তাগফিরুল্লাহ
- দরুদ শরীফ পাঠ করা
সন্ধ্যার আমল
- আয়াতুল কুরসি পড়া (মাগরিবের পর)
- তিন কুল পড়া — সূরা ইখলাস, সূরা ফালাক, সূরা নাস তিনবার করে।
- "লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াহদাহু লা শারীকালাহু..." ১০০ বার
- "আমসাইনা ওয়া আমসাল মুলকু লিল্লাহ..." দোয়া পাঠ
- ইস্তিগফার করা ও নিজের গুনাহের জন্য ক্ষমা চাওয়া
- দরুদ শরীফ বেশি বেশি পড়া
উপকারিতাঃ সকাল-সন্ধ্যার আমল করলে-
- আল্লাহর হেফাজতে থাকা যায়
- রোগ, বিপদ, শয়তানের কুমন্ত্রণায় আক্রান্ত হওয়া থেকে রক্ষা পাওয়া যায়
- আত্মিক প্রশান্তি অনুভূত হয়
- রিজিকে বরকত হয়
সংক্ষেপে: সকাল-সন্ধ্যার আমল মুসলিম জীবনের এক গুরুত্বপূর্ণ নিয়মিত ইবাদত।
যে ব্যক্তি নিয়মিত সকাল-সন্ধ্যার আমল করে, সে আল্লাহর রহমত, নিরাপত্তা ও বরকতের ছায়ায় থাকে।